দুশ্চিন্তা মুসিবত ও পেরেশানী দূর করার উপায়

দুশ্চিন্তা মুসিবত ও পেরেশানী দূর করার সহজ উপায়

দুশ্চিন্তা মুসিবত ও পেরেশানী দূর করার উপায়ঃ ডাঃ ও এফ গবেরন বলেছেন – ৭০% রোগী যারা ডাক্তারের কাছে আসে, তারা নিজেরাই নিজেদের চিকিৎসক হতে পারে। যদি তারা তাদের দুশ্চিন্তা ও ভয়কে দমিয়ে রাখতে পারে।

দুশ্চিন্তা আমাদের কত বড় ক্ষতি করে, তা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছো। কিন্তু চাইলেই তো আর দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকা যায় না। এর জন্য চাই কিছু বুদ্ধিদীপ্ত কৌশল।

চলো তবে জেনে নেই সেই কৌশলগুলো-

3A Formula: 3A ফর্মুলা অর্থাৎ Analyze, Accept and Advance.

বিষন্নতা দূর করার সহজ উপায়
বিষন্নতা দূর করার সহজ উপায়

ধরো, তুমি তোমার প্রিয় মোবাইলটি হারিয়ে ফেলেছো। এ সময় তুমি Analyze করো, এর ফলে কি কি ক্ষতি হতে পারে। মোবাইলটিতে কি কি প্রয়োজনীয় তথ্য ছিল, সেগুলো নিয়ে একটু ভাব। তারপর সেই ক্ষতিগুলোকে Accept করো। যা হবার তাতো হয়ে গিয়েছে। কারণ এখন তোমাকে Advance অর্থাৎ ক্ষতিপূরণের উপায় বের করতে হবে।

এক্ষেত্রে তুমি ভেবে দেখ, কোনো রকমে ট্রাক করে লোকেশন পাও কিনা, কিংবা না পেলে মোবাইলে প্রয়োজনীয় ফাইলগুলো, কোথা থেকে পুনরায় উদ্ধার করা যায় তা নিয়ে চিন্তা করো।

তুমি যদি 3A ফর্মুলা Apply না করে, শুধু শুধু দুঃচিন্তা করো, তবে কোনো লাভ নেই। বরং তোমার শারীরিক কোনো ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে। তার চেয়ে মাথা ঠাণ্ডা রেখে Problem Analyze ও Accept করো। দেখবে, কোনো না কোনো উপায় তুমি পাবেই।

যদি তুমি তোমার ক্ষতি Accept করতে না পারো, তবে তোমার মাথা তোমাকে খেয়ে বসবে। চরম হতাশায় ভুগবে তুমি। আজ তুমি যে সমস্যায় পড়েছো, অলরেডি কেউ না কেউ তার সম্মুখীন হয়েছে। সুতরাং এটা একটা স্বাভাবিক বা Natural ভাব।

৫০০ বছর পূর্বে মাইকেল ডি মনট্যাগ বলেছিলেন- আমার জীবন অনেক সমস্যায় ভরে গেছে। এমন অনেক সমস্যা আছে, যেগুলো আমি চিন্তা করি, কিন্তু বাস্তবে হয় না।

একটি রিসার্চে এটাই বর্ণিত হয়েছে যে, ৮৫% দুশ্চিন্তা, যা আমরা করে থাকি, তা আসলে বাস্তবে হয়ই না।

দুশ্চিন্তা দূর করার উপায়

তোমরা হয়তো বলতে পারো যে, কিছু বিষয় এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যার ক্ষতি সহজে মেনে নেয়া যায় না, মন খারাপ হবেই, দুশ্চিন্তা আসবেই।

মানসিক চাপ কমানোর উপায়
মানসিক চাপ কমানোর উপায়

হ্যাঁ! তাহলে আমিও বলবো স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে, এই ফিলিংসগুলো থাকবেই। এগুলো কন্ট্রোল করার জন্য ডেল কার্নেগীর বই “How to stop worrying” থেকে ২ টি উপায় শেয়ার করবো।

প্রথমত, Keep Busy: দুশ্চিন্তা, হতাশা ও ভয়, তখনই আসে, যখন একাকীত্ব মনে হয়। তাই বিভিন্ন পছন্দনীয় ও প্রয়োজনীয় কাজে, নিজেকে ব্যস্ত রাখো ও হাসিখুশি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দাও।

দ্বিতীয়ত, ভালো থাকার অভিনয়ঃ যত সমস্যা বা ক্ষতির মধ্যে থাকো না কেন; মুখের মধ্যে হাসি রাখো ও এমন একটা ভাব নিয়ে অভিনয় করো যে, তুমি বিন্দাস আছো। দেখবে, অভিনয় করতে করতে ক্যারেক্টারে প্রবেশ করবে মনের অজান্তেই।

তুমি যদি দুশ্চিন্তা কন্ট্রোল বা দুশ্চিন্তা দূর করতে পারো, তবে ভয়কেও জয় করতে পারবে। তবে ভয়কে জয় করতে হলে, কিছু প্রাকটিস লাগবে। যেমনঃ তুমি রাতে যখন ভয় পাও, আর পিছনে তাকাতে সাহস পাও না, তখন সাহস করে একবার পিছনে তাকিয়েই দেখো না। সাতার শিখতে ভয় পাও, তাহলে কাল থেকে ওটাই করা শুরু করো। তোমার ছোট ছোট ভয়গুলোকে জয় করতে শেখো। দেখবে, বড় ভয় এমনিতেই চলে যাবে।

আসলে সত্যিটা কি জানো, আমাদের জীবনে ক্ষতি বা সমস্যাগুলো আমাদের অভিজ্ঞতা ও ম্যাচুরিটির দিকে নিয়ে যায়। আজকে যেটা সমস্যা, আগামীকাল তা হাসির খোরাক। Nokia 110 Model হারিয়ে অনেক কষ্ট পাচ্ছো, কিন্তু কালকে যখন Nokia 7 plus andriod phone হাতে থাকবে, তখন আগেরটার কথা ভেবে হাসি পাবে।

দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায়

তাই জীবনে যত সমস্যাই আসুক না কেন, সাহসিকতার সাথে লড়াই করে যাবে। কোন রকম দুশ্চিন্তা বা ভয় করবে না। কারণ মানুষের জীবনে ৭০% অসুখের জন্য দায়ী এগুলোই।

আরও পড়ুন- কিভাবে নিজের ইচ্ছা মত স্বপ্ন দেখা যায়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *