বিশ্বের সেরা শিশু: আমরা কথায় কথায় বন্ধুদের ক্ষেপানোর জন্য ডায়লগ দেই। তুই এখনো বাচ্চা আছিস, আরেকটু বড় হ, তারপর আসিস। কিন্তু আজকে আপনাদের সামনে এমন কিছু বাচ্চাদের নিয়ে এসেছি যাদের ট্যালেন্ট এবং কাজকর্ম দেখলে রীতিমতো থ মেরে বসবেন। নিজেকে অনেক তুচ্ছ মনে হবে তাদের কাছে। থাক আমি আর ডায়লগ না মেরে আপনাদের সাথে দেখে আসি এই অদ্ভুত শিশুদের। যাওয়ার আগে একটা ছোট্ট অনুরোধ রইল চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকা বেল বাটনটি প্রেস করে দিন। তো চলুন বন্ধুরা শুরু করা যাক-
নাম্বার ফাইভঃ Giuliano Stroe: Child Body Builder
বাচ্চাদের সাথে পাল্লা দিয়ে বেশিরভাগ রেকর্ড গড়েছে এই বডি বিল্ডার Giuliano Stroe. শুধু তাই নয় গ্রিনিচ বুকে নাম লিখিয়েছে এই ছোট্ট সুলতান। তাও আবার দেয়ালের উপর হাত দিয়ে হেঁটে।
এছাড়াও ছোটদের মধ্যে খাড়া ৯০ ডিগ্রী পুশআপ দিয়ে গ্রিনিচ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়েছিল সে। তার জিম করার ধরণ একদম বড়দের মতই। প্রায় সকল ধরনের পুশ আপ এবং কাট দিতে পারে সে।
নাম্বার ফোরঃ Reuben Paul : The Child Hacker
মাত্র ১২ বছর বয়সে একজন সাইবার বিশেষজ্ঞ, তাও আবার যেমন তেমন নয়, পাক্কা হ্যাকারও। আপনার ফেসবুক কিংবা টুইটারের একাউন্ট, পাসওয়ার্ড থেকে শুরু করে ব্যাংক একাউন্ট পর্যন্ত সব কিছু হ্যাক করার ক্ষমতা রাখে এই সাইবার বালক।
নিউজ রিপোর্টার ডেভিড বেডানাড তার এই ক্ষমতা পরীক্ষা করার জন্য তার নিজস্ব টুইটার একাউন্টের ইউজার ও পাসওয়ার্ড জানতে চায়। মাত্র কয়েক মিনিটে প্রোগ্রামিং করে সে ডেভিডের অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস বলে দেয়। শুধু একজন সাইবার এক্সপার্ট না, মার্শালার্টেও ব্লাক বেল্ট রয়েছে তার।
নাম্বার থ্রিঃ Isabella Barrett: Fashion Designer
ভাবতে পারেন, ৯ বছর বয়সে আমরা যখন বীজগণিত আর পাটিগণিতের সূত্র নিয়ে ব্যস্ত তখন একটি পিচ্চি মেয়ে ফ্যাশন ডিজাইনার। মাত্র নয় বছর বয়সে এই মেয়েটি তরুণ উদ্যোক্তা এবং সেরা ফ্যাশন ডিজাইনার খেতাব পেয়েছিল।
Toddlers and Tiaras স্টারখ্যাত এই তরুণী Glitzy girlz এবং Bound by the crown couture নামে দুটি ফ্যাশন ব্রান্ড দিয়ে অল্প কিছু দিনে মিলিয়নিয়ার হয়ে যায় এবং best business women দের সারিতে এসে যায়।
নাম্বার টুঃ Akiane Kramarik – Poet & Artist
বলা হয়ে থাকে যে, বাচ্চাদের বোঝার ও সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা চার বছর পর ধীরে ধীরে শুরু হতে থাকে। কিন্তু এই মেয়েটি একটু বেশিই পাকা। মাত্র চার বছর বয়সে সে একাধারে কবি এবং আর্টিস্ট। তাও আবার যেমন তেমন আর্টিস্ট বা চিত্রকর নয়। তার এক একটি চিত্রের মূল্য মিলিয়ন এর উপরে।
তার প্রতিটি ছবি দেখে মনে হয় ক্যামেরায় তোলা জীবন্ত এবং চলমান। এজন্য তাকে ‘Prince Of Peace’ উপাধি দেয়া হয়েছে। মাত্র আট বছর বয়সে সে যীশুর একটি ছবি এঁকে তা দশ হাজার ডলার দিয়ে বিক্রি করেছিল। যার মূল্য প্রায় এক কোটি টাকার কাছাকাছি। অ্যামাজন ডট কমে তার কবিতার অডিও বুক ও ছবি পেয়ে যাবেন।
নাম্বার ওয়ানঃ The Youngest Basketballer
এবার আপনাদের এই ভিডিওর সবচেয়ে পিচ্চির সাথে পরিচয় করিয়ে দেব যে কিনা বিশ্বের সেরা শিশু তালিকায় অবস্থান করছে। এই পিচ্চির কাছে বাস্কেটবল হাতের মোয়ার মত। তার নিখুত নিশানা কখনই কোন শট মিস করে না। কিভাবে এত ছোট হাতে এত দূর অব্দি বল সে সঠিক ক্যালকুলেশন করে জালে ফেলছে?
বাস্কেটবল ছোড়ার সময় ৬০ ডিগ্রী, ৪৫০ ডিগ্রী কিংবা ৩০ ডিগ্রী কোণে ছুড়লে তা বাস্কেটে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। এজন্য একজন খেলোয়াড়কে অনেক অধ্যবসায় ো অনুশীলন করতে হয়। কিন্তু Titus নামের এই বাচ্চাটি কিভাবে এতসব আয়ত্ত করে এত সুন্দর নিখুত নিশানা ছোড়া দেখাচ্ছে? প্রশ্নটা আপনাদের করলাম। উত্তর জানা থাকলে কমেন্টে জানাবেন আশা করি।
তো আজ এ পর্যন্তই। ভিডিওটি ভাল লাগলে লাইক দিবেন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আবার দেখা হবে নতুন কোন ভিডিওতে নতুন কোন টপিকসে, ততদিন ভাল থাকুন। পরিবারকে সময় দিন।
আরও পড়ুন- সন্তান লালন পালনে প্যারেন্টিং টিপস