প্রযুক্তির নতুন আবিষ্কার – সেরা ৫ টি আবিষ্কার যা অপ্রকাশিত থেকেছে: হ্যালো বন্ধুরা, টেকনোলজি এমন একটা শব্দ যা খুব কমন ভাবে ইউজ করা হয়ে থাকে। পরিশ্রম, নলেজ, স্কিল এগুলোর দ্বারাই আমাদের বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিতে টেকনোলজি ইউস করে থাকি। এটা দিয়েই আজ দুনিয়া জুড়ে সাইন্টিফিক রিসার্চ এবং ইনভেস্টিগেশন সম্ভব হয়ে থাকে। আর সেই সাথে মানুষ অনেক গতিশীল ভাবে তাদের উন্নতি সাধন করে যাচ্ছে। অনেক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে আজ আমরা ইনফরমেশন এন্ড টেকনোলজির যুগে প্রবেশ করেছি।
বন্ধুরা, আপনারা জানেন লাইফের সবকিছু ফেয়ার হয়না। যে জিনিস দেখতে যেমন, সে জিনিস আসলে দেখতে তেমনটি নাও হতে পারে। বন্ধুরা আপনারা শুনে অবাক হবেন যে আমাদের কাছে এমন কিছু আধুনিক টেকনোলজি থাকা উচিত ছিল। যা কোম্পানি বা গভর্মেন্ট শুধুমাত্র নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করে আসছে। আর সেই সাথে তারা তাদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য এগুলো তারা লুকিয়ে চেপে রেখেছে। যদিও তারা লুকিয়ে না রাখতো। তবে আমাদের জীবন আরো বেটার ,ফাস্ট, সহজ এবং সেফ থাকতো। তো বন্ধুরা কোন কোন ইনভেনশন যা পুরো পৃথিবী থেকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। আসুন একনজর দেখে নেই।
5. ফ্রি এনার্জি টেকনোলজি
নিকোলা টেসলা একজন অনেক বড় বিজ্ঞানী এবং একজন ইনভেন্টের ছিল। যে এসি অর্থাৎ অল্টারনেটিং কারেন্ট টেকনোলজি, রেডিও ট্রান্স মিশন, ইন্ডাকশন মোটর আবিষ্কার করেছে। তার অল্টারনেটিং কারেন্ট সিস্টেম আজ পর্যন্ত গ্লোবাল স্টাণ্ডার্ড। সারা পৃথিবীর সেই দিন পর্যন্ত চলছিল থমাস এডিশন এর ডিসি অর্থাৎ ডাইরেক্ট কারেন্ট টেকনোলজির উপর যা আজকের দিনে ব্যাকডেটেড। তার একটি পরীক্ষায় ফ্রোডান ক্লিপ টাওয়ার থেকে অন্য একটি বড় টাওয়ারে ম্যাসেজ ট্রান্সমিট করা হচ্ছিল।
আর এই পরীক্ষার ফলাফলে জে.পি. মরগান ফান্ড করছিলেন। কিন্তু টেসলা যখন তাকে আগে অনুরোধ করেন। তখন সে জানতে পারে যে, ঐ টাওয়ারের মাধ্যমে ওয়ারলেস পাওয়ার গ্রিড সিস্টেমে ফ্রি এনার্জি পুরো পৃথিবী জুড়ে পৌঁছানো সম্ভব। এর ফলে এর লাভের জন্য পি. মরগান তার ফাণ্ড বন্ধ করে দেন। কিন্তু তিনি ছিলেন একজন বড় ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট। যার কপার ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট এর উপর কন্ট্রোল ছিল।
আর কপার দিয়ে ইলেক্ট্রিক্যাল কন্ডাক্টর তৈরি করা হয়। তার বিজনেসের যেন এমন কিছু না হয় সেজন্যই তিনি এই টেকনোলজি বন্ধ করে দিয়েছেন। তা না হলে আজ আমরা পুরো পৃথিবীজুড়ে ফ্রি এনার্জি পেয়ে যেতাম এবং নিকোলা টেসলা তার এই ফ্রি ইলেকট্রিসিটি ট্রান্সমিটেড এ পুরোপুরিভাবে সফলও হয়েছিলেন।
4. ইলেক্ট্রিক কার
মানুষ মোটরগাড়ি সম্পর্কে শত বছর ধরে জানেন এবং ব্যবহার করে আসছে। আর বিদ্যুৎ সম্পর্কে তো মানুষ আরোও ভালো ভাবে জানে। বন্ধুরা আমরা ইলেক্টিক কারকে লেটেস্ট ইনভেনশন এবং Vehicle of furure জেনে আসছি। জানলে অবাক হবেন যে, এই কার আমেরিকাতে শত বছর পূর্বে থেকেই আছে। আর এটা আমেরিকার একটা স্ট্যাটাস সিম্বল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রথম প্রাকটিকাল ইলেকট্রিক্যাল কার ১৮৮৪ সালে থমাস পারকোর তৈরি করেছিল। ১৯০০ সালের দিকে আমেরিকা এবং ইউরোপের ইলেকট্রিক কার অনেক ফেমাস হয়ে ওঠে। আর সেই সাথে এটার তাৎপর্য তাদের কাছে আরো বৃদ্ধি পেতে থাকে।
তারপর ১৯১২ সালে হ্যান্ডরি ফোরটের গ্যাস পাওয়ার ফুল মডেলটিকে অ্যাসেম্বলি লাইন ম্যাচ প্রোডাকশন সমৃদ্ধ কনসেপ্ট আসে। কিন্তু সমস্যা শুরু হয় তখন, যখন টেক্সসাসে অয়েল আবিষ্কৃত হয়। সেখান থেকে যখন তেল পাওয়া শুরু হয়ে গেল। তখন এই কোম্পানি আমেরিকান গভর্নমেন্টের উপর প্রেসার দিতে শুরু করে এবং এমন ভাবে বাজেট তৈরি করে যার মাধ্যমে তারা পুরো দেশের বুকে রোডের জাল বিছিয়ে দেয়। পরে ১৯৩০ সালের দিকে আমেরিকান কম্পানি মধ্যপ্রাচ্যে তেলের খনি আবিষ্কার করে। অবাক করা কথা হলো তাদের স্বার্থের জন্যই এই অয়েল কোম্পানির নিজে অটোমোবাইল কোম্পানি এবং গভর্নমেন্টকে চাপ দিতে থাকে ইলেকট্রিক্যাল কার বন্ধ করার জন্য।
এর ফলে ১৯৪৫ সালের দিকে আমেরিকা ইলেকট্রিক্যাল কার বিলুপ্ত হয়ে যায়। আর ১৯৭০ সালেরদিকে মধ্যপ্রাচ্যের অয়েল কোম্পানির রেজিস না আসা পর্যন্ত এই ইলেকট্রিক্যাল কারের কথা একবার ভাবো হয়নি। আর আজ যখন গ্লোবাল ওয়ার্মিং সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে তখন ইলেক্ট্রিক্যাল কারের প্রয়োজনীয়তা আবার দেখা দিয়েছে। এই হলো থমাস পার্কার, যে প্রথম ইলেকট্রিক্যাল কার তৈরি করেছিল।
3. ডিজিটাল ক্যামেরা
স্মার্টফোনের যুগে প্রথম কোডেক ক্যামেরার অর্থ হলো যে কোন মজাদার মুহূর্তের ভিডিও রেকর্ড করে সংরক্ষণ করা। জয়েজ ইস্টম্যান ১৮৮৪ সালে প্রথম ফটোগ্রাফি করা এক প্লেট ওয়ালা টেকনোলজি প্রথম প্রবর্তন করে ফটোগ্রাফি করা এক নতুন রোল ফিল্ম ওয়ালা টেকনোলজি নিয়ে আসে। ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে এই টেকনোলজি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে শুরু করে। আর সেই সাথে ইস্টম্যান কোডেক কোম্পানি বিশ্বের সব থেকে মূল্যবান কোম্পানি হয়ে ওঠে। কিন্তু বন্ধুরা, কোডেক এর সফলতাই তার সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আপনারা জেনে অবাক হবেন, কোডেক কোম্পানি কেনো তাদের বিজনেস থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়। আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, কোডাক এমন একটি কোম্পানি ১৯৭৫ সালে বিশ্বে প্রথম ডিজিটাল ক্যামেরা বানিয়েছিল।
তো কি এমন হলো, যে ১৯৬৯ সালে যে কোডেক এর ক্যামেরা দিয়েই এপোলো ১১ এর চাঁদে ভ্রমণের ভিডিও করা হয়। আর যে কোম্পানি ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত আমেরিকায় ৯০% ফোটোগ্রাফিক্স ফিল্ম এবং ৮৫% ক্যামেরা বিক্রি করতো। তাদের সাফল্য হঠাত ডাইন হতে থাকে। যখন ১৯৭৫ সালের বিশ্বের প্রথম ডিজিটাল ক্যামেরা কোডাকের ইঞ্জিনিয়ার বানিয়েছিল। তো সেই সময় কোডাকের ম্যানেজার খুশিতে অবশ্য হয়েছিল। কিন্তু এই নতুন প্রোডাক্ট মার্কেটিং এর জন্য তারা প্রস্তুত ছিল না। কারণ তাদের মনে হয়েছিল, এটা ফটোগ্রাফিকফিল্ম বিজনেস শেষ করে দিবে। আর এটাই ছিল তখনকার সোনার ডিম দেয়া মুরগি। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে ফুজি, কেনোন, নিকোন, প্যানাসনিক, সনিক ইত্যাদি নতুন ডিজিটাল রেভুলেশনের লাভ উঠাতে থাকে।
আর কোডাক যে এই নিজেই ডিজিটাল ক্যামেরার আবিষ্কারক সে ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হতে থাকে। আর এর পেছনে নিজের বিলুপ্তির কারণ হলো আবিষ্কারকে চালাকি করে লুকিয়ে রাখা।
2. প্রোজেক্ট এক্স. এ
১৯৫৫ সালে লাইগেট এবং মাইরেস টোবাকো কোম্পানির রিসার্চার নর্থ ক্যারোলাইনার লেভে দুটি ইদুরের উপর রিসার্চ করতে থাকে। টোবাকোওয়ালা সিগারেটের কি কি ক্ষতিকর দিক এবং কী কী ভাবে ক্ষতি করে তা ক্যান্সার সৃষ্টি করে? আর এই ক্ষতিকর দিকগুলো কিভাবে কমানো যায়? তার জন্য বিজ্ঞানি মোল্ট এই প্রজেক্টে ১২ বছর রিসার্চ করে জানতে পারেন যে টোবাকো যুক্ত সিগারেটের প্লেরিয়াম নাইট্টেট এর মিশ্রন করে সিগারেট খাওয়ার সময় সিগারেটের ক্ষতিকর পদার্থগুলি নিষ্কাশিত হয়ে যায়।
যার ফলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়। কিন্তু একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় তার প্রতিযোগী জায়ান্ট ফিলিপ মরিচ ভাবে যদি এর মার্কেটিং হয় তবে মানুষ ভাববে এর অর্থ হল সিগারেটগুলো ডেঞ্জারাস হয়ে থাকে। এই কথাটি লুকানোর জন্য অন্যান্যদের সাথে মিলে লাইগেট এবং মায়ার্সের টোবাকো ইনস্টিটিউটকে ব্যান করে দেয়ার জন্য সতর্ক করে দেয়া হয়। এর পরও লাইগেট এবং মায়ার্স তাদের এক্সের পরিক্ষা সফল হওয়ার পরে তার পাবলিকেশন করার পরে। তাদেরকে এক পাবলিক লেকচার বলতে বাধ্য করা হয়। যে রেগুলার সিগারেট পান করা ক্ষতিকর নয় এবং তার পরে তারা তাদের প্রোজেক্ট ইনকম্পিলিট করে রেখে দেয়। অবাক করার কথা হলো টোবাকো কোম্পানি তাদের সুপার প্রোফিট রাখার জন্য কোটি কোটি লোকের প্রাণ রক্ষার কথা ভেবেছিল না সেদিন।
1. ক্লাউড বাস্টার
উইল হেলম রেইছ একজন অস্ট্রেলিয়ান সাইকিয়াট্রিস্ট। যে সাইকোলজিগতভাবে ওয়েদার কন্ট্রোল করতে চেয়েছিলো। ওদের কন্ট্রোল করার জন্য কত রকম ম্যাথড সম্পর্কে জানা গেল এ পর্যন্ত। কিন্তু রেইসের ক্লাউড বাস্টার মেথড এখন পর্যন্ত সবারই অজানা। এটা এমন এক এনার্জি যা মানুষের চিন্তা-ভাবনা ধ্যান-ধারণা পাওয়া যায়। আর এটা দিয়ে ওয়েদারও কন্ট্রোল করা সম্ভব। এটা এমন একটা জীবনি শক্তি যাকে চাইনিজ মানুষ জন ছি বলে ডাকে। ক্লাউড বাস্টার যন্ত্র আলাদা আলাদা টিউবের মতো হয়ে থাকে।
যা আকাশের দিকে তাক করা হয়। যা পরিচালনা করতে এক প্রান্ত থেকে এক গুচ্ছু পাইপ এবং অপর প্রান্তও অন্য যন্ত্রের সাহায্যে পানির মধ্যে ডুবানো থাকে। আর এই আধ্যাত্মিক শক্তি বায়ুমণ্ডলকে প্রভাবিত করে। যার ফলে মেঘের স্থান পরিবর্তন হয়ে বৃষ্টির থাকে। এক ব্লু বেরির কৃষক রেইছকে অনেক টাকা দেওয়ার কথা দেয় যদি রেইছ ভয়ংকর ক্ষরা থেকে বৃষ্টি নামাতে পারে। আবহাওয়া অফিস থেকে ঘোষণা দেয় বেশ কিছু দিন বৃষ্টি হবে না। কিন্তু রেইছ মাত্র এক ঘণ্টা পর্যন্ত তার ক্লাউড বাস্টার যন্ত্র চালায় পরদিন সকালে বৃষ্টি হয়ে থাকে। এক ব্লুবেরির কৃষক রেইচকে অনের টাকা দেওয়ার কথা দেয় যদি রেইচ ভয়েংকর খরা থেকে বৃষ্টি নামাতে পারে। আবহাওয়া অফিস থেকে ঘোষণা দেয় বেশ কিছু দিন বৃষ্টি হবে না।
কিন্তু রেইচ একঘন্টা তার ক্লাউড বাস্টার যন্ত্র চালায় আর পরের দিন সকালে বৃষ্টি হয়। এটা খুবই অদ্ভুত একটা কথা ছিল। কিন্তু অন্যান্য গবেষক রেইচের এই বিষয়ে অসন্তষ প্রকাশ করে থাকে এবং গভার্মেন্ট ওথোরিটিসদের কাছে রিপোর্ট করে থাকে। এতে করে রেইচের দুই বছরের করে জেল হয় এবং জেলে আট মাস থাকা অবস্থাতে হার্ট অ্যাটাক হয়ে মৃত্যু বরণ করেন।
আর কোট তার মৃত্যুর পরই তার সকল রিসার্চের ব্লু প্রিন্ট পুরে ফেলে। এটা কি সত্যিই এমন কোন যন্ত্রের ছিল যা বৃষ্টি নামাতে পারতো।
তো বন্ধুরা, এ সমস্ত রোমাঞ্জকর টেকনোলজি যদি আমরা পেতাম এবং আমাদের থেকে লুকিয়ে না রাখা হতো তাহলে আমাদের বর্তমান সময় এবং বর্তমান জীবন আরো অনেক বেশি সুন্দর হয়ে উঠত।
পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে পারেন। প্রযুক্তি প্রেমীদের মাতিয়ে তুলতে পারেন এই লেখাটি শেয়ার এর মাধ্যমে।
আরো পড়ুন – সেরা ৫টি স্মার্টফোন রিভিউ