আগামীকাল সকাল ৮ টায় বাস। বন্ধুদের সাথে পিকনিকে যাবো। ড্রেসআপ কি হবে? চুলের স্টাইলটা কেমন হবে? এসব উত্তেজনাকর বিষয়গুলো ভাবতে ভাবতে রাতে ঘুমই আসতে চায় না। যাইহোক, যে কিনা সকাল ১১ টা বাজলেও উঠতে চায় না, সে ৭ টায় উঠে একদম রেডি। তাহলে তোমার অলসতা কোথায় গেল? তাইতো, ভাবার বিষয়!
সাধারণত যে কাজে ইন্টারেস্ট আছে, সেটাতে কখনো অলসতা আসে না। সত্যি বলতে আমরা সবাই কর্মঠ, কেউ অলস নই। পরিস্থিতি ও কিছু বদঅভ্যাস আমাদের অলস বানিয়েছে। অলসতার কারণে জীবনে কিছুই করতে পারছো না বলে অনেক হতাশায় ভুগছো। তোমাদের এই কমন সমস্যা দূর করতেই আজকের এই আয়োজন। চলো শুরু করা যাক-
আইডিয়া ১: একুপ্রেসার
অলসতার অন্যতম কারণ হলো শরীরে এনার্জি না থাকা। আমাদের শরীরে হাত-পায়ের কব্জি ও গিট হলো এনার্জি রিলিজের অন্যতম উৎস।
তাই সকালে ঘুম থেকে উঠেই হাত ও পায়ের জয়েন্টগুলোতে ম্যাসাজ করো এবং কয়েকটি আড়মড়া দাও। তারপর শরীরের ম্যাজিকীয় পরিবর্তনটা নিজেই লক্ষ্য করে দেখ।
আইডিয়া ২: মস্তিষ্ক ব্যস্ত রাখা
যেহেতু তুমি অলস, তাই তোমার ব্রেন বেশি ভাবতে বা চাপ নিতে চাইবে না, এটাই স্বাভাবিক। তাই নিত্যদিনের অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করো। যেটাতে তোমার কোন সমস্যা হবে না যেমনঃ ডান হাতের পরিবর্তে বা হাত দিয়ে ব্রাশ করো, ডান পকেটের বদলে মানিব্যাগ বাঁ পকেটে রাখো, বাঁ হাতের ঘড়ি ডানহাতে পড়ো, এভাবে ছোট ছোট অভ্যাসগুলো চেঞ্জ করে মস্তিষ্ককে ব্যস্ত রাখো। তাহলে তোমার ব্রেণ সবসময় সচেতন থাকবে, নতুন প্যাটার্ন গ্রহণ করতে।
আইডিয়া ৩: লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
সবার জীবনে কোন না কোন লক্ষ্য থাকে। কিন্তু সেই লক্ষ্য বাঁ উদ্দেশ্য যদি কাল্পনিক বাঁ ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে তবে তা লক্ষ্যই থেকে যাবে। কারণ শুরুতে বড় কোন লক্ষ্য তোমাকে সহজে হতাশ করবে এবং ইন্টারেস্ট হারিয়ে অলস হয়ে পড়বে।
তাই তুমি যদি রোবট বানার স্বপ্ন দেখো, তাহলে এটলিস্ট এটা শুরুর জন্য যে বিষয়গুলো তোমাকে জানতে হবে সেটাকে লক্ষ্য ভেবে নিতে হবে। ছোট ছোট লক্ষ্যগুলো তোমাকে বড় কোনো লক্ষ্যে নিয়ে যাবে।
আইডিয়া ৪: পছন্দের বিষয় প্লান করা
যেকোন পছন্দের বিষয় তুমি অগ্রিম প্লান করো। আগামীকাল যদি বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাও তবে সেটা নিয়ে ভাবো, কিভাবে? কোথায়? কেমন করে যাবে এসব বিষয় নিয়ে চিন্তা করো। এভাবে নিত্যদিনের প্লান তোমার মস্তিষ্ককে পরিশ্রমী করে তুলবে এবং তোমার অলসতা আস্তে আস্তে কমে যাবে।
আইডিয়া ৫: জায়গা নির্বাচন
সাধারণত বিছানা বাঁ ছোফায় বসলে আমাদের ক্লান্তি আসে, ঘুম পায়। কারণ ব্রেণ ভালো করে জানে যে এগুলো আরামের জায়গা।
তাই সারাদিনে এই বিছানা ও যে জায়গাগুলোতে ঘুমানোর অভ্যাস আছে সেগুলো পরিহার করো, চেয়ার টেবিল কিংবা শক্ত মেঝেতে কাজ করো নইলে সময় কাটাও।
আইডিয়া ৬: খাদ্য ও পানি
সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে দু’গ্লাস পানি খেয়ে নিবে। চাইলে ফলও খেতে পারো। সেটা হতে পারে কলা কিংবা অন্য কোনো ফল। রাতে ঘুমানোর সময় মেটাবলিজম কমে যাওয়ায় খাবারের এনার্জ কমে যায়। ফল খেলে তা আবার ঠিক হয়ে যায়। সারাদিনে পর্যাপ্ত পানি পান করো। কিন্তু পেট ভরে অতিরিক্ত কিছু খেও না।
আইডিয়া ৭: পরিচ্ছন্নতা
তোমার থাকা খাওয়ার বাঁ কাজের জায়গাগুলো অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হতে হবে। কারণ এটি তোমার মনকে ফেশ রাখবে ও কাজের আগ্রহ বাড়িয়ে দিবে।
সবশেষে বুতে চাই আজকের এই ভিডিওটি তাদের জন্য যাদের Self respect আছে। অর্থাৎ যারা অলস কিন্তু আত্মসম্মানে বিশ্বাসী। যারা ফ্রিতে কিছু আশা করে না কিংবা কারো উপায় নির্ভরশীলও না। যদি তোমার মধ্যে Self respect থাকে তবে এই Idea ৭টি তোমাকে অবশ্যই নতুন পথ দেখাবে।
অলসতা দূর করার উপায় ভিডিওটি ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায় এতো এতো শেয়ার করো যাতে সবার কাছে পৌছে যায়। কেননা, অলসতা কাটিয়ে আমরা সমৃদ্ধ হলে তবেই আমাদের দেশ সমৃদ্ধ হবে।
আরো পড়ুন- অপমান করলে কি করতে হয় টেকনিক জেনে নিন