দ্রুত কাজ করার উপায়

দ্রুত কাজ করার উপায় জানুন অধিক পরিশ্রম না করেও

দ্রুত কাজ করার উপায় কি? আমাদের জীবনে আমরা যা কিছুই শিখতে যাই না কেন! আমরা সেটাকে যত দ্রুত সম্ভব শিখতে চাই। এবার সেটা গিটার বাজানো হোক বা ফ্লুয়েন্টলি ইংলিশ বলা। আমরা যাই শিখি আমরা সবসময়ই চাই যেন নূন্যতম সময়ের মাঝে ওই স্ক্লিলটাকে অর্জন করতে পারি।

এই আর্টিকেলে এমন কিছু স্মার্ট আইডিয়া তুলে ধরব যেগুলো আপনাকে কোন কিছু তাড়াতাড়ি শিখে নিতে সাহায্য করবে-

30% রিসার্চ 70% প্রাকটিস

আপনি সারাদিন ধরে একটা ফুটবলকে কিক করতে হয়, সেই ব্যাপারে পড়তে পারেন। কিন্তু আপনি যখন মাঠে নামবেন ফার্স্ট ট্রাইতে আপনি কোনদিনও পারফেক্ট কিক দিতে পারবেন না। আপনি হয়তো এই কথাটা আগেও শুনেছেন,”Practice makes a man perfect”.

কাজে মন বসানোর উপায় প্রাকটিস করে

আমাদের ব্রেণ প্রাকটিস করার মধ্য দিয়ে শেখার জন্য ডেভেলপ হয়েছে। শোনার মধ্য দিয়ে শেখার জন্য নয়। আপনি যদি কোন একটা paragraph মুখস্ত করতে চান 30% টাইম সেটা পড়ার পিছনে এবং 70% টাইম সেটা মুখস্ত হলো কিনা সেটা টেস্ট করার পিছনে সময় ব্যয় করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

ভিতর থেকে শান্ত হোন

তোমার ঘরে বসত করে কয়জনা-সেটা অন্য কেউ জানেন না! তাই আপনার ভেতরের মানুষটাকে চুপচাপ রাখাটাই হবে সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। মনে রাখুন-আপনি অন্য কারো কথা যখন শুনছেন তখন কেবলই শুধু শ্রোতা হোন, পরে একসময় আপনি সেটার সাথে আপনার নিজের মতামত মিলিয়ে নিতে পারেন।

কাজে সফল হওয়ার উপায় শান্ত হওয়া

কেননা, অন্যের কথা শোনার চেয়ে নিজে মনে মনে অনেক কিছু ভেবে নেয়া সহজ, যার বেশির ভাগই বাতিল হওয়ার সম্ভাবণা থাকে। আপনার ক্ষতিটা হবে ঠিক তখনই যখন অন্যের কথায় মনোযোগ না দেওয়ার কারণে হয়তো গুরুত্বপূর্ণ কথাটাই মিস করে ফেলবেন! তাহলে শেখা হলোটা কি? কিছু সময়ের জন্য নিজের মস্তিষ্ককে পাত্তা না দিয়ে সামনের বক্তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন, এতে নতুন নতুন জিনিস শেখার সমূহ সম্ভাবণা রয়েছে। কাজে সফল হওয়ার জন্য শান্ত থাকাটা একান্ত জরুরি।

৮০-২০ সূত্র মেনে চলুন

হেনরি ফোর্ড বলেছিলেন-কোন কাজেই আসলে কঠিন নয়, যদি সেই গোটা কাজটাকে ছোট ছোট কাজে ভাগ করে নেওয়া যায়। এবং The Potato Principle যেটা কিনা ৮০-২০ রুল বা 80-20 Principle হিসেবেও পরিচিত সেই Principle অনুযায়ী বেশি ভাগ ক্ষেত্রেই ২০% Causes থেকেই ৮০% Effects আসে।

কর্ম জীবনে সফল হওয়ার উপায় ৮০ ২০ সূত্র

যেমন এর উদাহরণ হিসেবে বললে ৮০% সেল আসে ২০% প্রোডাক্ট থেকে। যেমন ধরুন আপনি গিটার বাজানো শিখতে চান। এবার এই ক্লিলটাকেই আপনি কয়েকটি ভাগে ভেঙে নিতে পারেন। যেমনঃ মিউজিক স্কিপটা পড়তে শেখা, সঠিক পোস্টার, সঠিকভাবে আঙ্গুলের প্লেসমেন্ট, বেসিকস স্ক্লেল গুলো শেখা, বেসিক কডস গুলো শেখা, ফিঙ্গার পিকিং এবং আরও এরকম অনেক কিছু।

তো এর মধ্যে সবথেকে বেশি কোনগুলো। আপনি হয়তো জানেন এর মধ্যে কমন কডসগুলোর জন্য ফিঙ্গার প্লেসমেন্টটা শিখাই হলো সবথেকে বেশি ইমপরটেন্ট স্কিল। কারণ ২০% বেসিক কডস দিয়েই আপনি চাইলে ৮০% মিউজিক বাঁচাতে পারবেন। তাই বুদ্ধিমানের কাজ এটাই হবে প্রথমে আপনি শুধু মাত্র এই দুটি জিনিস কমন কডস এবং তার ফিঙ্গার প্লেসমেন্টগুলো শেখার উপর বেশি ফোকাস রাখা। কারণ এই দুটো জিনিসই আপনাকে ৮০% রেজাল্ট দিবে।

নিজের সাথে তর্ক করুন

বক্তার কথা শোনার সময় অর্থাৎ শেখার সময়, যদি ভেতরের নিজেকে চুপ করিয়ে রাখতে না পারলে আপনি তার সুযোগ নিতে শুরু করুন। ঐ সময় যখনই নিজের ভেতর অন্য কোন চিন্তা আসবে তখনই আপনি তার বিপরীত চিন্তাটা নিয়ে ভাবুন।

তাড়াতাড়ি শিখে নেওয়ার কৌশল তর্ক করা

আপনার মস্তিষ্ককে বোঝাতে চেষ্টা করুন আসলে সামনের বক্তা যা বলছে তাই ঠিক! এ সময় নিজের সাথে তর্ক করতে করতে আপনি নিজের বক্তব্যের পক্ষেও শক্ত অবস্থান নেওয়াটাও শিখে যাবেন।

জ্ঞানীদের সাথে থাকুন

আপনি যে স্কিলেই দক্ষ হতে চান না কেন কেউ না কেউ থাকবেনই যিনি ইতিমধ্যেই সেই বিষয়ে এক্সপার্ট। তাই কোনো কিছুতে দক্ষ হওয়ার ফাস্টেট উপায় হলো এমন কাউকে খুজে বের করা যিনি ইতিমধ্যেই আপনি যে জায়গায় পৌছাতে চান সেই জায়গায় অলরেডি পৌছে গেছেন।

খুব দ্রুত কাজ শিখে নেবেন জ্ঞানীদের সাথে থেকে

তার কাছ থেকে ফিগার আউট করতে হবে তিনি কিভাবে আজকের জায়গায় পৌছেছেন? এর পর নিজের জার্নিটাকে সেই আদলে গড়ে তুলতে হবে। আপনার যদি এরকম পরিচিত কেহ না থাকে তবে আপনি গুগলিং বা ইউটিউবিং করে দেখতে পারেন। আশা করি বিফল হবেন না।

আগ্রহী হওয়ার চেষ্টা করা

নতুন কোন কিছু সম্পর্কে আলোচনা চললে পুরো বিষয়টি শেখার আগ্রহ দেখান। জন্মগতভাবেই কিছু কিছু মানুষ সব ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে থাকেন, আবার কেউ কেউ কোন ব্যাপারেই আগ্রহ প্রকাশ করেন না। আপনি কোন দলভূক্ত এটা গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং আপনি আগ্রহী মানুষের ভান করে সেই সুবিধা তুলে নিতে পারেন।

দ্রুত কাজ করতে আগ্রহী হওয়া

কোনো লেকচার শোনার সময় নিজেদের মনের মধ্যে আসা প্রশ্নগুলো একটি নোট খাতায় আলাদা করে লিখে রাখতে পারেন, পরে সময় পেলে আপনি তা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন বা নিজে নিজেই গুগলে সার্চ দিয়ে বিভিন্ন আর্টিকেল পড়ে শিখতে পারেন।

সবার আমি ছাত্র ভাবুন নিজেকে

বিভিন্ন রিসার্চ থেকে জানা গেছে, আমরা যত বেশি রকম ভাবে একটা তথ্যকে এক্সপেরিয়েন্স করি, তত বেশি ভালভাবে সেটা আমাদের মনে থাকে। কেন? কারণ বিভিন্ন মিডিয়া আমাদের বিভিন্ন ব্রেণ পার্টসকে এক্টিভ করে এবং যখন আমাদের ব্রেণের বিভিন্ন অংশ একসাথে কাজ করে তখন আমরা একটা ইনফরমেশন অনেক বেশি ভালভাবে ধরে রাখতে পারি এবং কোন কিছু তাড়াতাড়ি মুখস্তও করে নিতে পারি।

তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করতে ছাত্র হোন সবার

তাই শুধুমাত্র নিজের স্ক্লিল রিলেটেড বই বা পড়াশুনার মধ্যে নিজেকে সীমাবদ্ধ না রেখে যদি আমরা সেই রিলেটেড অডিও বা ভিডিও দেখি বা সেই স্কিল টা প্রাকটিস করার জন্য কোনো মোবাইল অ্যাপ ইউজ করি, এমনকি যেটা শিখলাম সেটা যদি হাতে লিখে বা নোট রাখি তাহলে সেটাও অনেক বেশি রেজাল্ট দিতে সক্ষম।

গোয়েন্দা হওয়ার প্রচেষ্টা

কোন গুরুত্বপূর্ণ কথা বা আইডিয়া হাওয়া থেকে উড়ে আসেনা। এর পেছনে কিছু চিন্তা, কিছু উপযুক্ত কার্যকরণ থাকে। তাই আপনার কাজের সাথে সাথে সেই কাজের ফর্মুলা নিয়ে ভাবুন।

ভালভাবে কাজ শেষ করতে গোয়েন্দা হোন

এসব ফর্মুলা কোথা থেকে আসলো, আসার কারণ কি, কিভাবেইবা আসলো, সেসব যদি ভাবতে যান, দেখবেন পুরোনো ফর্মুলা থেকেই নতুন নতুন অনেক আইডিয়া পেয়ে যাচ্ছেন।

বক্তার কথা নিয়ে ভাবা

অধিকাংশ সময়েই আমরা সাধারণত বক্তব্য শোনার আগেই বক্তাকে নিয়ে অনেক বেশি মাথা ঘামাই। এর কারণে শেখার সম্ভাবণাটা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে যায়। ব্যক্তি হিসেবে বক্তা বোরিং হতেই পারেন, তাই বলে তার বক্তব্য বোরিং হবে এমনটা নাও হতে পারে।

কর্ম জীবনে সফল হতে কথা শুনুন

তাই বক্তা এবং তার বক্তব্যকে প্রথমেই আলাদা করে ফেলুন। শুধু শুনুন আর শুনুন। একজন বোরিং বক্তাও অনেক ভালো বক্তব্য দিতে পারেন-অসম্ভব নয় কিন্তু!

কাজের শেষ সময় নির্ধারণ করুন

দ্রুত কাজ করার জন্য পারকিনসন সূত্র আপনাকে দারুণ ফল দেবে।Parkinsons law নামে একটা law রয়েছে। এই law তে বলা হয়েছে, “work expands so as to fill the time available for it’s completion”. মনে আছে কলেজের সেই এসাইনমেন্টটা, যেটা লেখার জন্য আপনার কাছে যথেষ্ট সময় ছিল। কিন্তু আপনি শেষ মহুর্তে এসে সেটা লিখেছিলেন।

হ্যাঁ এটাই Parkinsons law. যত বেশি হাতে সময় থাকে আমরা তত বেশি সেই কাজে ঢিলেমিয়েশি করতে থাকি। এবার parkinsons law টাকে নিজের ফেভারে আনতে হলে আপনাকে নিজের জন্য একটা Deadklines তৈরি করতে হবে। যদি আপনি কোন কিছু complete করার জন্য নিজেকে কম সময় দেন সেক্ষেত্রে আপনি সেটা আরও বেশি efficiently করবেন এবং সেটাতে ultimately সময়ও কম নষ্ট হবে।

আরো ভালভাবে জানতে নিচের ভিডিওটি দেখুন-

আশা করি কাজ নিয়ে আর আজেবাজে চিন্তা না করে ভালভাবে শেষ করতে পারবেন। তবে একদিনে কোন কিছুই হবে না। আপনাকে একটু একটু করে সময় দিতে হবে।

আরো পড়ুন- আত্মবিশ্বাসী হওয়া মানসিক শক্তির মানুষ হয়ে মনের সাহস বাড়ান

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *