ওজন কমানোর উপায়

ওজন কমানোর উপায় জেনে মেদ কমান আর স্লিম হোন

ওজন কমানোর উপায় জেনে মেদ কমান আর স্লিম হোন: কিভাবে মেদ বা ওজন কমানো যায় এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আজকের এই আর্টিকেল লেখা। আশা করি, আপনার সমস্যার পূর্ণাংগ সমাধান পাবেন এই আর্টিকেলে। তাই মনোযোগ সহকারে পুরোটুকু পড়ার অনুরোধ রইল।

একখানা স্লিম ফিগার কে না চায়? মেয়েদের ক্ষেত্রে তো কোনো কথাই নেই। তারা একহাজারটি টিপস মানতে রাজী আছে, পাতলা বা স্লিম ফিগারের জন্য। চোখে অনেক স্বপ্ন ও বুকভরা আশা নিয়ে আর্টিকেলটি পড়তে বসেছেন। আশা করি, আপনার মূল্যবান সময়টুকু ভেস্তে যেতে দিব না।

নিজের শরীরের BMI গণনা করুন

তবে পাতলা কিংবা স্বাস্থ্যবান হওয়ার আগে জেনে নিন, আপনার ওজন বা বি এম আই স্বাভাবিক কিনা? যদি স্বাভাবিক হয়, তবে যে যাই বলুক না কেন, পাতলা হওয়ার বিন্দুমাত্র চেষ্টা করবেন না। কারণ এতে হিতের বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর যদি বি এম আই বেশি হয়, তাহলে লেখাটি আপনার জন্য-

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO কর্তৃক প্রকাশিত BMI (Body Mass Index) নির্ণয়ের সূত্রটি হলো-
BMI = ওজন/(উচ্চতা)^২

পাতলা হওয়ার উপায়

অর্থাৎ শরিরের মোট ওজনকে উচ্চতার বর্গ দিয়ে ভাগ করতে হবে। এখানে ওজন কেজিতে ও উচ্চতা মিটারে হিসাব করতে হবে। তারপর হিসাবকৃত BMI যদি ২৫ এর বেশি হয় তবে আপনি স্লিম হওয়ার জন্য নিচের পদ্ধতিগুলো আপনার জন্য।

এই সূত্র অনুসারে, যদি আপনার বি এম আই বেশি হয়, তাহলে উল্লেখিত পদ্ধতি কয়েকটি আপনার ওজন হ্রাসে কার্যকরী সহায়তা করতে পারে-

ঘরোয়া ব্যায়াম করুন

চিকন হবার সহজ উপায় হলো দৌড়। নিয়ম করে প্রতিদিন সকালে অথবা বিকালে যখনই সময় পান, দৌড়াবেন। দৌড় হচ্ছে ইউনিভার্সাল এক্সারসাইজ। দৌড়ানোর সময় শরীরের বড় মাসলগুলোর পাশাপাশি অন্যান্য ছোট মাসলগুলোরও ব্যায়াম হয়। ৩০ মিনিট দৌড়ালে আপনি প্রায় ৩৫০ কিলোক্যালোরী বার্ণ করতে পারবেন।

দ্রুত মেদ কমানোর উপায়

যেটা জীমে দু’ঘন্টা এক্সারসাইজ করেও করতে পারবেন না। কারন জীমে আপনি একটানা ওয়ার্কআউট করছেন না, মাঝে মাঝে বিশ্রাম ও নিতে হচ্ছে আপনাকে। কিন্তু দৌড়ালে আপনার ফ্যাট বার্ণ হয় নিরবিচ্ছিন্নভাবে, পালস আকারে। ওজন কমানোর উপায় গুলোর মধ্যে এটি অবশ্যই আপনাকে মানতে হবে।

লেবু-মধুর শরবত খান

যদি সকালে দৌড়ান, তবে দৌড়ানোর আধা ঘন্টা আগে লেবু এবং মধু একসাথে মিশিয়ে শরবত তৈরি করে খেতে পারেন। লেবু-মধুর দ্রবণ টা কিভাবে তৈরি করবেন বলি-

ভুড়ি কমানোর উপায়

এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে চা চামচের আধা চামচ লেবুর রস এবং এক চামচ মধু একসাথে মিশাবেন। ঠান্ডা পানিতে মিশালে উলটো ফল হবে অর্থাৎ ওজন বাড়বে। তাই সাবধানে কাজটি করুন। লেবুর এসিড দাতের এনামেলের জন্য ক্ষতিকর, তাই শরবত খাবার পরে কুলি অথবা ব্রাশ করে ফেলতে পারেন।

আর যদি বিকালে দৌড়ান, তাহলে দৌড়ানোর কমপক্ষে দু’ঘন্টা আগে খেয়ে নিবেন। ভরা পেট নিয়ে দৌড়াবেন না। দৌড়ানোর সময় কথা বলবেন না। এতে আপনার রিদম এবং এনার্জী দুটোই তাল হারিয়ে ফেলবে। মুখ দিয়ে শ্বাস নিবেন না। নাক দিয়ে শ্বাস নিবেন ও ছাড়বেন, তাহলে দম ধরে রাখতে পারবেন।

প্লেটের সাইজ কমিয়ে ফেলুন

পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন। যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ খাওয়ায় অভ্যস্ত হোন, তবে ধীরে ধীরে সেগুলো কমাতে হবে। আর এজন্য বড় প্লেটের পরিবর্তে ছোট প্লেটে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। অর্থাৎ আপনাকে প্লেটের সাইজ কমাতে হবে। কারণ গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, ছোট প্লেটের তুলনায় বড় প্লেটে মানুষ অধিক খাদ্য গ্রহণ করে।

খাবার দ্রুত না খেয়ে ধীরে ধীরে ভাল ভাবে চিবিয়ে খেতে হবে, নয়তো মেদ জমতে শুরু করবে। কারণ ধীরে খেলে আপনি পরিমাণ মতো খাবেন, নয়তো মনের অজান্তেই অতিরিক্ত খেয়ে ফেলবেন। এখন বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই, মেদ হওয়ার আসল কারণটা কি? মেদ কমাতে সবুজ শাকসবজি ও ফলমূলের বিকল্প নেই।

খাদ্যাভ্যাস মেনে চলুন

সকালে ভাত খাওয়ার অভ্যাস থাকলে বাদ দিন কয়েক মাসের জন্য। ভাতের পরিবর্তে ২পিস রুটি/সবজী দিয়ে নাস্তা করতে পারেন। রুটির সাথে ডিম/আলু ভাজীর কথা একদম ভুলে যান!

দুপুরে যতটুকু খেয়েছিলেন, রাতে তার থেকে কম খাবেন যেহেতু রাতে আমাদের কোন শারীরিক পরিশ্রম করতে হয়না এবং অবশ্যই ঘুমাতে যাবার কমপক্ষে তিনঘন্টা আগে খাবেন।

রাতের খাবার খাওয়ার কিছুক্ষন পরেই যারা ঘুমাতে চলে যান, এদের মুটিয়ে যাবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। মিষ্টি, মিষ্টি জাতীয় যত আইটেম, গরু-খাসির মাংস, সফট/কোল্ড ড্রিংক্স সহ যত রকমের ফ্যাটি এবং জাঙ্ক ফুড আছে, মাস খানেকের জন্য এগুলোর কথা ভুলে যান! পরবর্তীতে অল্প-স্বল্প খেতে পারবেন কিন্তু এখন থেকে অফ।

“কিভাবে পাতলা হওয়া যায়” আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার কেমন লাগলো তা কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।

আরও পড়ুন- স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির উপায় জেনে ব্রেন তীক্ষ্ণ করুন

1 thought on “ওজন কমানোর উপায় জেনে মেদ কমান আর স্লিম হোন”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *