চুল পড়া বন্ধ: আজকের এই পলিউশনের যুগে আমাদের সবারই চলে হাজার রকমের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বেশিরভাগই খুব তাড়াতাড়ি চুল উঠে যাচ্ছে, খুব অল্প বয়সে টাক দেখা দিচ্ছে, আবার কারোর অল্প বয়সে চুল পেকে যাচ্ছে।
তো আজ এই লেখায় সিম্পল ঘরোয়া উপায়ে বানানো সম্ভব এরকম কিছু সমাধান আপনার সঙ্গে শেয়ার করব যাতে আপনি খুব সহজেই কম খরচে সেগুলো ঘরে বানিয়ে ইউজ করতে পারেন। আর আশা করি এটা আপনার জন্য খুবই হেল্পফুল হবে। তো চলুন শুরু করা যাক-
তুলসি পাতা আর নিমপাতা
চুল পড়া রোধে তুলসী পাতা আর নিম পাতা দারুণ কাজ করে। প্রায় সমস্ত হেয়ার প্রবলেম এর মুল উৎস হলো ড্যানড্রফ। বাংলায় আমরা যাকে বলি খুশকি। ড্রানড্রফ কমানোর জন্য সবচেয়ে বেষ্ট রেমিডি হলো – তুলসি পাতা আর নিমপাতা।
আপনি তুলসি পাতা আর নিমপাতা নিয়ে সেগুলোকে ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর সেগুলোকে জলে দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। তারপর সেটা ঠাণ্ডা হওয়ার জন্য কিছুক্ষণ রেখে দিন।
তারপর ঠান্ডা হয়ে গেলে ভালো করে স্ক্যাল্পে ও সারা মাথায় নিম পাতা এবং তুলসী পাতার জলটা কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এটা আপনাকে খুশকির হাত থেকে বাঁচতে সব থেকে বেশি সাহায্য করবে। আপনি চাইলে শুধু নিম পাতা বাটা বা তুলসী পাতা বাটা স্ক্যাল্পে এবং চুলের গোড়ায় লাগাতে পারেন।
নিয়মিত তেল দেওয়া
তবে বেশি তেল দেওয়া খুশকির জন্য ভালো না। তাই সবসময় শ্যাম্পু করার ঠিক আগের দিন রাতে বা শ্যাম্পু করার ৩-৪ ঘন্টা আগে তেল দিন। ছেলে মেয়ে সবার ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য। শ্যাম্পু করার আগের দিন রাতে তেল দিলে সব থেকে ভালো হয়। তা ছাড়া আর কখনও তেল দেবেন না। তাই সপ্তাহে দু তিন শ্যাম্পু করার ঠিক আগের দিন রাতে তেল দিন।
তেল হল চুলের খাদ্য। তাই একদম তেল না দেওয়াটাও যেমন ভালো না তেমনি বেশি তেল দেওয়াটাও ভালো না। তেল না দেওয়ায় চুলের আগা ফেটে যায় যেগুলোকে স্পিলিটেন্স বলা হয়। আর কখনোই চুলে তেল দিয়ে বাইরে যাবে না।
রাস্তা ঘাটে এত পলিউশন আর ধুলাবালির জন্য সেগুলো চুলে ঢুকতে থাকে। আর তেল থাকায় সেগুলো চুলে আটকে যায়। ফলে চুল নোংরা হয়। তারপর চুল আঁচড়ালে অনেক চুল উঠতে থাকে। চুল পড়া বন্ধ করতে তেলের কোন বিকল্প নেই।
মুলতানি মাটি হেয়ার মাস্ক
এক কাপ টক দই নিয়ে তাতে দু’চামচ আমলকি পাউডার বা পাউডার না হলে আমলা তেল দিন। আর তাতে 2-3 চামচ মুলতানি মাটি আধা পাতি লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মিক্স করে পেস্ট বানিয়ে নিন। টক দইয়ে ভিটামিন বি৫ আর ডি থাকে।
এটা চুলের গ্রন্থিকোষগুলোতে পুষ্টি সাধন করে। এটা স্ক্যাল্পের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল আর ফাংগাল ইনফেকশনকে প্রতিরোধ করে। স্ক্যাল্পে যে ডেথ সেলসগুলো জমা হয় সেগুলোকে স্তরে স্তরে তুলে ফেলে। তাই টক দই চুল পড়া বন্ধ ও খুশকি দুর করার জন্য খুবই ভালো একটি হোম রেমেডি।
আমলকি পাউডার
চুলের যত্নে আমলকির রস বেশ ভূমিকা রাখে। আমলকিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি থাকে। যেটা খুশকিকে স্ক্যাল্প থেকে ভালো করে রিমুভ করতে সাহায্য করে। আর স্ক্যাল্পটাকে হেলদি বানায়।
এছাড়া এতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং এস্পিরিজন গুন আছে যেটা স্ক্যাল্পে যে চুলকানি মত হয় বা ড্রানড্রফ এর জন্য যখন স্ক্যাল্প লাল হয়ে পড়ে সেগুলোকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। আর সর্বোপরি হেয়ারফল রোধ করে।
মুলতানি মাটি খুব ভালো একটি মাইল্ড ক্লিনার স্ক্যাল্প বা চুলের জন্য। এটা ড্যানড্রফ রিমুভ করে এবং হেয়ারফল বন্ধ করে। দুর্বল এবং ফ্রিজি চুলকে নরম ও সাইনি বানাতে সাহায্য করে। এটা স্ক্যাল্পে যে এক্সট্রা অয়েল আছে এবং হার্ম্ফুল টক্সিনস আছে যেগুলোর জন্য মূলত খুশকি হয় সেগুলোকে রিমুভ করে ব্লাড সার্কুলেশন বাড়াতে সাহায্য করে। তাই এটা ড্রাই, অয়েলি সব রকম চুলের জন্য ভালো।
আর পাতি লেবুতে ভিটামিন সি আর সাইট্রিক এসিড থাকে যেটা ড্রানড্রফকে রিমুভ করে চুলে পুষ্টিসাধন করে। পাশাপাশি ডেথ সেলগুলোকে রিমুভ করে স্ক্যাল্পের পি এইচ লেভেলকে মেইনটেইন রাখে। আর এর অ্যান্টি ফাংগাল গুন থাকে যেটা ফাংগাস ইনফেকশান থেকে স্ক্যাল্পকে দূরে রাখে। আর এতে হিলিং প্রোপারটিস থাকে যা স্ক্যাল্পের চুলকানিকে রিমুভ করে। যাদের তাড়াতাড়ি চুল পেকে যাচ্ছে তাদের জন্য পাতি লেবু খুবই উপকারী, চুল পড়া বন্ধ করে।
এই প্যাকটাকে ব্যবহার করার আগে স্ক্যাল্পে ভালো করে তেল দিন। তারপর এই মাস্কটা মাখুন। স্ক্যাল্প থেকে শুরু করে পুরো চুলে, চুলের গোড়ায়, চুলের লেন্থ আর চুলের আগায় সব জায়গায় ভালো করে লাগান। আর লাগিয়ে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রাখুন।
তারপরে এমনি নরমাল জলে ধুয়ে ফেলুন। শেষে আপনার রেগুলার শ্যাম্পু দিয়ে চুলটা ধুয়ে ফেলুন। এটা আপনি সপ্তাহে এক থেকে দুদিন ইউজ করুন।
চুলে অ্যালোভেরা ব্যবহার
অ্যালোভেরাতে যে জেলী থাকে সেটা স্কিন চুল দুটোর জন্যই খুব উপকারী। অ্যালোভেরাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিনস আর নিউট্রিনটস পাওয়া যায় যেটা চুলের জন্য খুবই উপকারী। এতে হিলিং প্রোপার্টিস আছে যেটা সানবার্ন থেকে আপনার স্কিনের পাশাপাশি চুলকেও বাঁচায়।
এতে প্রোটিওলাইটিক এনজাইম থাকে যা স্ক্যাল্পের ডেথ স্কিন সেলসগুলোকে রিপ্যায়ার করে। আর এটা ভালো কন্ডিশনার এরও কাজ করে। এটা ড্রাই আর ফ্রিজি হেয়ারকে স্মুথ আর সাইনি বানায়। এটা চুল পড়া বন্ধ করে। সাথে সাথে নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। ড্রানড্রফও রিডিউস করে। স্ক্যাল্পে যে ইচিং প্রবলেম অর্থাৎ যে চুলকানি হয় সেটাকেও দুর করে। অ্যালোভেরা ভীষণই ভালো ও হেল্পফুল একটা হোম রেমেডি।
এবার চলুন দেখা যাক, কি করে এটা ইউজ করবেন-
নম্বর ১- অ্যালোভেরা জেলীর অ্যান্টিড্যানড্রফ
আপনার চুলের পরিমাণ অনুযায়ী অ্যালোভেরার পাতা নিন। বড় চুল হলে তিন-চারটে কি তার বেশি। এভাবে আপনার চুলের লেন্থ অনুযায়ী নিন। নিয়ে পাতার ভেতর দিয়ে জেলি গুলোকে বার করে নিন। তারপর জেলিগুলোর মধ্যে এক চামচ নারকেল তেল বা যদি জেলী বেশি হয় তাহলে একটু বেশি নারকেল তেল দিন। এরপর তার মধ্যে আধা চামচ পাতিলেবুর রস দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে একটা হেয়ার মাস্ক বানিয়ে নিন।
এবার আপনি এটা সপ্তাহে ২-৩ বার স্যাম্পু করার আগে লাগান। লাগানোর ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এটা খুবই উপকারী একটা জিনিস। নিয়মিত লাগালে আপনার ড্যানড্রপ এর সমস্যা থেকে আপনি অবশ্যই মুক্তি পাবেন।
নম্বর ২- অ্যালোভেরা ডিপ কন্ডিশনার
অ্যালোভেরা খুব ভালোভাবে ডিপ কন্ডিশনার এর কাজ করে। এক চামচ মতো এলোভেরা জেলি নিন। তারপর এক চামচ অলিভ অয়েল দিয়ে কন্ডিশনার বানিয়ে নিন। এরপর এটাকে চুলে ভালো মতো লাগিয়ে ৩০ মিনিট মতো রেখে দিন। তারপর স্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ড্রাই ফ্রিজি হ্যায়ারস স্মুথি আর সাইনি হবে।
নম্বর ৩- চুলের স্টাইলে অ্যালোভেরা জেল
কোথাও বেরনোর আগে এটা লাগান। এটা সব রকম হিট থেকে আপনার চুলকে রক্ষা করবে। মার্কেটে যেসব কেমিক্যাল জেল পাওয়া যায় সেটার বদলে অ্যালোভেরা জেল ইউজ করা যেতে পারে। এতে চুল একদমই ঝরবে না। উপরন্ত আপনার উপকার হবে।
আর আপনার যদি পিওর অ্যালোভেরা পেতে সমস্যা হয় তাহলে আপনি রেডিমেট অ্যালোভেরা জেল যেটা মার্কেটে সব সময় পাওয়া যায় সেটাও ইউজ করতে পারেন। সেটাও খুব ভালো। আর এগুলো নিয়মিত লাগালে আপনি চুল পড়া সমস্যা থেকে অনেকটা মুক্তি পাবেন।
হারবাল হেয়ার অয়েল রেসিপি
এটা আপনারা অবশ্যই ইউজ করুন। এটা চুল পড়া বন্ধ করবে, সাথে মাথায় যে টাক পড়ছে সেটাকেও বন্ধ করবে। খুশকি কমাবে। আর অবশ্যই অকালপক্কতার হাত থেকেও রক্ষা করবে। সবার প্রথমে এক বাটি সরষের তেল নিন। এরপর একটা মিডিয়াম সাইজের পিঁয়াজ নিন। পিঁয়াজের নাম শুনে নাক সিটকাবেন না।
হয়তো বেশিরভাগই গন্ধের জন্য এটা অ্যাভয়েড করার কথা ভাবতে পারেন। কিন্তু একটু তো কম্প্রোমাইজ করতেই পারেন। এটা আপনার তো কোনো ক্ষতি নেই। যেখানে আপনার চুলের জন্য আপনার সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, আরো নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে, সেখানে এটুকু তো করাই যায়।
তাই এটাকে বানান আর ইউজ করুন। আর হ্যাঁ পরিমাণটা অবশ্যই খেয়াল রাখবেন। দু’বাটি যদি তেল নেন তাহলে দুটো মিডিয়াম সাইজের পেঁয়াজ নিবেন। এরপর পিঁয়াজগুলোকে মোটা করে কুচি করে কেটে নিবেন। এরপর কোনোভাবে সরষের তেলটাকে গরম করে তাতে পেঁয়াজ গুলো দিয়ে দেবেন।
এবার পিয়াজ গুলো হাল্কা গোল্ডেন ব্রাউন হয়ে এলে তাতে এক চামচ মত কালোজিরা দেবেন। কালোজিরা চুলের জন্য ভীষণ উপকারী। কালোজিরা দিয়ে ভালো করে নাড়ুন। আর পেয়াজ গুলো একটু লাল হওয়া অব্দি নাড়ুন ৫ মিনিট মত।
কিন্তু আবার যেন বেশি পুড়ে না যায়। এবার পাঁচ মিনিট পরে এটাকে নামিয়ে ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিন। একদম ঠান্ডা হয়ে গেলে ছাঁকনি বা পরিষ্কার সুতি কাপড় দিয়ে তেলটাকে ছেঁকে নিন। আর ছেঁকে নিয়ে একটা কৌটাতে স্টোর করে রাখুন। এটা আপনি দু’তিন মাস ধরে রাখতে পারেন।
চুল পড়া বন্ধ করার তেলের উপকারিতা
নতুন চুল গজানোর প্রাকৃতিক উপায় এই তেল। এতে যে সরষের তেল আছে সেটা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন সেলেনিয়াম আছে যেটা চুলের সেলগুলোকে প্রটেক্ট করে। চুল পড়া কন্ট্রোল করে।
আর ড্যামেজ ড্রাই হেয়ারকে ঠিক করে চুলে একটা ন্যাচারাল সাইন এনে দেয়। পাশাপাশি এটাতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড রয়েছে। যেটা চুলকে বাড়াতে তো হেল্প করেই তার সাথে চুলকে স্ট্রং বানায় এবং একটা চমক এনে দেয়।
সেকেন্ড এটায় যে পিঁয়াজ আছে সেটায় অনেক সালফার আছে যেটা চুলের জন্য খুবই উপকারী। এটাও চুল পড়াকে বন্ধতো করেই তার সাথে ব্লাড সার্কুলেশন কে বাড়ায়। আর চুলকে নাউরিশ করে। পেঁয়াজে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণও থাকে, যেটা স্ক্যাল্পের ইনফেকশনগুলোকে সারিয়ে তোলে। চুলের গোড়া শক্ত করতে এটি বেশ কার্যকরী।
এরপর হলো কালোজিরা। কালোজিরাতে পাওয়ার ফুল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ভিটামিন আর মিনারেলস থাকে যেটা চুলের গ্রোথটাকে বাড়াতে সাহায্য করে। আর তার সাথে সাথে মাথায় যে টাক পড়ে যাওয়া সেটাকেও ঠিক করে।
এটায় ফ্যাটি এসিড আছে যেটা চুলটাকে সফট আর স্মুথ বানায়। আর তার সাথে সাথে কম বয়সে যে চুল পেকে যাচ্ছে সেটাকেও ঠিক করে। অর্থাৎ সাদা চুলকে কালো বানাতে সাহায্য করে। তাই অবশ্যই কালোজিরা দেবেন।
তেলটাকে সপ্তাহে দু’তিন দিন মেখে সারারাত বা ৬-৭ ঘণ্টা রেখে তারপর যদি শ্যাম্পু করেন তবেই সেটা কার্যকর হবে।
কালোজিরা হেয়ার মাস্ক
চুলে কালোজিরা তেলের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। আপনি এক চামচ কালোজিরে, এক চামচ সরষে আর এক চামচ মেথি সিডস নিয়ে এক কাপ জলে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরিবর্তিতে মিক্সিতে সব দিয়ে পরিমাণ মতো জলে একটা ঘন পেস্ট বানিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন, জল যেন বেশি না হয়ে যায়। তাহলে পেস্টটা খুব পাতলা হয়ে যাবে।
পেস্টটা যেন খুব ঘন হয় এরপর পেস্টটায় দুই বড় চামচ টকদই দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। সেটাকে মাথার স্ক্যাল্প থেকে শুরু করে চুলের গোড়ায়, চুলের আগায় ভালো করে লাগান। আর লাগিয়ে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেখে দিন। তারপর শুঁকিয়ে গেলে এমনি জলে ধুয়ে ফেলুন। তারপর ভালো করে রেগুলার শ্যাম্পু দিয়ে শ্যাম্পু করে নিন। এই মাস্কটাকে লাগানোর আগে চুলে ভালো করে তেল দিয়ে নিন।
কালো সরষেতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন ই এবং ডি পাওয়া যায়। এটা চুলটাকে খুব ঘন আর চুলের গ্রোথটাকেও বাড়ায়। আর চুলের গোঁড়াটাকে শক্ত করে এবং চুল পড়া বন্ধ করে।
এরপর হলো মেডি সিডস। এটায় ভিটামিন সি, পটাসিয়াম, নিকোটিনিক এসিড আর ল্যাসিটিন পাওয়া যায়। যেটা চুলের গ্রোথটাকে আর বাড়ায় এবং চুল পেকে যাওয়া সমস্যা থেকে বাঁচায়। ড্যানড্রপ দুর করে এবং চুলটাকে ঘন বানায়। আর ম্যাথিতে চুল স্মুথও হয় যেটা কন্ডিশনারের কাজ করে।
শেষ কথা
আমি এতক্ষণ যে হোম রেমেডিসগুলো বললাম, সেগুলো যদি নিয়মিত ইউজ করেন, তাহলে আশা করি, আপনি আপনার চুলের যাবতীয় সমস্যার সমাধান পাবেন। এগুলো শতভাগ ন্যাচারাল কোন কেমিক্যালও নেই। কম খরচে আপনি খুব সহজেই এটা ব্যবহার করতে পারবেন।
আর এগুলো অবশ্যই ছেলে, মেয়ে মহিলা ও পুরুষ সবাই ইউজ করতে পারেন। আপনি আপনার পছন্দমত যেকোন একটা চয়েজ করে নিয়মিত ইউজ করুন। তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই আপনি দেখতে উপকার দেখতে পাবেন।
সর্বোপরি সব সময় চুল পরিষ্কার রাখুন। প্রয়োজনীয় নিউট্রিয়েন্ট সরবরাহ করুন। তাহলেই দেখবেন আপনার সব রকম চুলের সমস্যা থেকে আপনি রেহাই পাবেন।
আরও পড়ুন- দাঁতের যত্নে করনীয় ৫টি ঘরোয়া টিপস