ব্রণ দূর করার

মুখের ব্রণ দূর করার প্রাকৃতিক উপায় সাথে দ্রুত ব্রণের দাগ দূর

মুখের ব্রণ দূর করার প্রাকৃতিক উপায় সাথে দ্রুত ব্রণের দাগ দূর: নিজের গ্লোয়িং স্কিন মেইনটেইন রাখা। ডাল এবং টেম্পার স্কিন কারই বা পছন্দের। মুখে প্রকাশ না করলেও মনে মনে সবাই কিন্তু চায় একটা সুন্দর গ্লোয়িং স্কিন এর অধিকারী হতে। ছেলেদের কাছে এটা ইম্পরট্যান্ট না হলেও মেয়েদের কাছে এটা কিন্তু বেশ ইম্পরট্যান্স রাখে।

কিন্তু প্রতি মাসে কসমেটিকস এর পিছনে এত এত টাকা খরচ করার পরও যদি মনের মত গ্লোয়িং স্কিন না পাওয়া যায় তাহলে ব্যাপারটা সত্যিই খারাপ লাগে। তাই আমি আপনাদের সাথে এরকম কিছু সিম্পল এবং ঘরোয়া টিপস শেয়ার করবো যেগুলো ব্যবহার করে খুব সামান্য খরচে আপনিও পেতে পারেন মনের মত গ্লোয়িং স্কিন। তো চলুন শুরু করা যাক –

প্রচুর পানি পান করুন

মুখের বরুণ বা ব্রণ দূর করতে পানির বিকল্প নেই। স্কিনে গ্লো বজায় রাখার জন্য যদি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কিছু থেকে থাকে তবে তা হলো প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া। প্রতিদিন অন্তত ৮ গ্লাস করে জল খেলে আমাদের শরীর এবং স্কিন থেকে টক্সিনগুলো বেরিয়ে যাবে। আমাদের শরীরের ৫০-৭০ ভাগ হলো পানি। সেলস এবং অন্যান্য অর্গানসহ পুরোটাই জলে পরিপূর্ণ। পুরুষদের প্রতিদিন ৩ লিটার আর মহিলাদের প্রতিদিন ২.২ লিটার জল খাওয়া উচিত।

মুখের বরুণ দূর করতে পানি

স্কিনের ময়েশ্চারাইজেশন মেইনটেইন করার জন্য আর স্ক্রীন সেলগুলোতে প্রয়োজনীয় নিউট্রিয়েন্টস ডেলিভার করার জন্য জল অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। জল স্কিনের ফ্লেক্সিবিলিটিও বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ঠিকমতো জল খাওয়া হলে চেহারায় বার্ধক্যের ছাপগুলো যেমনঃ রিংকেলস, ফাইন লাইনস এগুলো সহজে আসে না।

জল স্কিনকে ভালভাবে হাইড্রেটেড রাখতে আর স্কিনে গ্লো আনতে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়ার ফলে স্কিন কোমল ও সুন্দর হয়। যেটা অন্যান্য সাময়িক ক্রিম এপ্লাই করার থেকে অনেক বেশি ইম্পরট্যান্ট। তাই যদি আপনিও সুন্দর, কোমল আর গ্লোয়িং স্কিন এর অধিকারী হতে চান তাহলে প্রতিদিন নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন।

হালকা যোগব্যায়াম করুন

ইয়োগা করলে আমাদের মন আর শরীর দুটোই হেলদি থাকবে। আর এটাই আমাদের স্কিনের গ্লো নিয়ে আসবে। ইয়োগা করলে স্কিনের মধ্যে ন্যাচারালি একটা গ্লোয়িং ভাব আসবে। আর তাতে আপনাকে দেখতে আরো বেশি ইয়াং লাগবে। পাশাপাশি আপনি হেলদিও থাকবেন। যার ফলে বুঝতেই পারছেন ওভারলি আপনাকে দেখতে খুব সুন্দর লাগবে।

ব্রণের চিকিৎসায় ব্যায়াম

ইয়োগা আমাদের শরীরের ব্লাড সার্কুলেশন বাড়াতে সাহায্য করে। আর শরীরের যত দূষিত জিনিস বা টক্সিনস আছে সেগুলোকে রিডিউস করতে সাহায্য করে। এমন অনেক ফিমেল রয়েছেন যাদের অয়েলি স্কিন। যার ফলে তাদের গরমে অনেক প্রবলেম ফেস করতে হয়। স্পেশালি তারা যে কুলিং প্রাণায়াম বা ব্রেথিং এক্সারসাইজগুলো রয়েছে সেটা যদি করতে পারেন তাহলে আপনাদের স্কিনে গ্লো আসতে অনেকটা হেল্প করতে পারে।

কপালভাতি প্রাণায়ামগুলো স্কিনগুলো মেইনটেইন রাখার জন্য খুবই উপকারী। এতে ডিটক্সিফিকেশন ঘটে। যার ফলে ন্যাচারালি গ্লোয়িং স্কিন পাওয়া যায়। এছাড়া আপনি যদি বাড়িতে বসে প্রতিদিন কুড়ি মিনিট ধরে ফেসিয়াল ইয়োগা এক্সারসাইজগুলো করেন তাহলেও আপনি খুব তাড়াতাড়ি এর রেজাল্ট পাবেন।

যেমনঃ যদি আপনি আপনার মুখটাকে কুড়ি মিনিট ধরে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করেন তাহলে আপনার কিছুটা স্ট্রেস রিডিউস হবে। আপনি আপনার ভুলগুলোকে যদি একই ভাবে ম্যাসাজ করেন তাহলে কিছুক্ষণের জন্য আপনার রিলাক্সসেশন হবে। আর এটা আপনার স্কিনে ইন্সট্যান্ট একটা সৌন্দর্যভাব নিয়ে আসবে। ব্রণ দূর করার জন্য এই কষ্টটুকু করতে হবে আপনাকে।

ব্রণের ফেসপ্যাক বানান নিজে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিছু ফেসিয়াল প্যাক রয়েছে যা সহজেই আমরা ব্যবহার করতে পারি। যেমন তাদের মধ্যে নিচের গুলো বানাতে পারেন।

পাকা কলার ফেসপ্যাক

কলা স্কিনের জন্য খুবই উপকারী। ফাস্টে মুখটাকে জলে ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর একটা পাকা কলার পুরো পেস্ট মত বানিয়ে তাতে এক চামচ মধু মিক্স করে মুখে মাখুন। শুকিয়ে গেলে কিছুক্ষণ পর নরমাল জলে ধুয়ে ফেলুন।

এতে আপনার স্কিন সফট আর গ্লোয়িং হবে। এটা আপনি প্রতিদিন একবার করে মাখুন। এটা খুবই সহজ একটা উপায়। আর প্রতিদিন এটা লাগালে কিছুদিন পরেই আপনি তার রেজাল্ট দেখতে পাবেন। আপনি চাইলে এই মিক্সারটার মধ্যে ১-২ চামুচ লেবুর রসও দিতে পারেন। এছাড়া আপনি চাইলে রোজ সকালে খালি পেটেও পাকা কলা খেতে পারেন। এটাও আপনার শরীরের জন্য ও স্কিনের জন্য খুবই উপকারী।

কলার মধ্যে ভিটামিন ই আর সি রয়েছে যেটা স্কিনটাকে পরিষ্কার করে স্কিনে গ্লো ভাব আনতে খুবই উপকারী। আর মধুতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যার ফলে স্কিন নরম হয়।

কাঁচা হলুদের ফেসপ্যাক

এই প্যাকটা স্পেশালি ছেলেদের জন্য। যদিও এটা ছেলেমেয়ে উভয়ে ইউজ করতে পারে। যাদের অয়েলি স্কিন, যাদের স্কিনে স্পট বা দাগ আছে বা টান আছে তাদের জন্য এই প্যাকটা বিশেষ উপকারী।

ব্রণ দূর করে হলুদের ফেসপ্যাক

২ চামচ চালের গুঁড়ো, আধা চামচ হলুদ গুঁড়ো আর ৪ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন। এরপর পেস্টটাকে মুখে, ঘাড়ে, হাতে ও পায়ে লাগান। শুকিয়ে গেলে একটু জল দিয়ে সেটাকে স্ক্র্যাপ করতে করতে অর্থাৎ সার্কুলার মোশনে ডলতে ডলতে নরমাল জলে ধুয়ে ফেলুন।

এটা আপনার স্কিনটাকে নরম আর সুন্দর বানাবে এবং টান রিমুভ করবে। ছেলেদের স্কিন যেহেতু মেয়েদের তুলনায় একটু হার্ড তাই এই প্যাকটা স্পেশালি তাদের জন্য ভালো হবে। এটা আপনি প্রতিদিনও লাগাতে পারেন বা সপ্তাহে ২-৩ দিনও লাগাতে পারেন।

হলুদ আমাদের স্কিনের পিগমেন্টেশন অর্থাৎ আমাদের স্কিনে যে ট্যান ভাব থাকে সেটাকে রিমুভ করে স্কিনে যে আসল রঙ সেটাকে ফুটিয়ে তোলে। পাশাপাশি স্কিনটাকে গ্লোয়িং করে তোলে। চালের গুঁড়ো আমাদের ডেথ স্কিন সেলসগুলোকে দূর করে স্কিনটাকে নরম ও সুন্দর বানায়।

বেসনের ফেসপ্যাক

এই প্যাকটাও খুব উপকারী। এই প্যাকটা বানানোর জন্য ২ চামচ বেসন, তার মধ্যে হাফ চামচ এরও একটু কম হলুদ গুঁড়ো, তার মধ্যে .১ চামচ চন্দনের গুঁড়ো এবং ২ চামচ কাঁচা দুধ আর শেষে পরিমাণমতো রোজ ওয়াটার দিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন।

ব্রণ সমস্যায় বেসনের ফেসপ্যাক

পেস্টটা বেশি পাতলাও না বেশি ঘনও না। মোটামুটি পেস্ট বানানোর জন্য যেটুকু গোলাপ জল লাগে সেই মতো দিয়ে পেস্টটা বানিয়ে নিন। এটা এক মাস অব্দি প্রতিদিন মাখুন। আর পেস্টটা লাগিয়ে কুড়ি থেকে ত্রিশ মিনিট অব্দি রাখুন। এরপর শুকিয়ে গেলে একটু জল নিয়ে সার্কুলার মোশনে স্ক্রাপ করে ধুয়ে ফেলুন।

আপনি চাইলে এটা মুখ, গলা, ঘাড় কিংবা পুরো বডিতেও লাগাতে পারেন। এতে বেসন রয়েছে যেটা সব রকম স্কিনের জন্যই ভালো। কারণ এটা দাগ, স্পটগুলোকে ভিতর থেকে পরিষ্কার করে। আর হলুদ ব্যবহারে ব্রণও কমে।

এছাড়াও কাঁচা দুধে ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে যেটা স্কিনের ট্যান রিমুভ করে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। আর চন্দনের গুঁড়ো ডার্ক স্পটগুলোকে দূর করে। যার ফলে স্কিনটা শুধুমাত্র সুন্দরী নয় তার সাথে সাথে স্কিনে একটা গ্লোয়িং ভাবও চলে আসে।

ব্রণ দূর করবে অ্যালোভেরা ফেসপ্যাক

ব্রণ দূর করার জন্য এলোভেরা খুবই কার্যকরী। এটা যাদের ড্রাই স্কিন তাদের জন্য খুবই উপকারী। অনেকের বাড়িতেই অ্যালোভেরা গাছ থাকে। আর না হলে বাজারেও সহজে অ্যালোভেরা পাওয়া যায়। তাই অ্যালোভেরা খুব উপকারী একটা ঘরোয়া উপায় বলা চলে।

ব্রণ দূর করবে অ্যালোভেরা ফেসপ্যাক

অ্যালোভেরাটাকে সাইড দিয়ে কেটে তার ভিতরের জেলীগুলোকে বার করে ভালভাবে মুখে লাগান। তারপর সেটা শুকানো অব্দি ওয়েট করুন। আর শুকিয়ে গেলে তারপর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এটা যাদের ড্রাই স্কিন তাদের জন্য ভীষণ উপকারী। আর এটা প্রতিদিন লাগালে স্কিনে গ্লো আসবে।

অ্যালোভেরাতে ভিটামিন সি, ই আর বিটা ক্যারোটিন থাকে। যেটা স্কিনকে নৌরিশ করে, ময়েশ্চারাইজ করে। এটায় হিলিং প্রোপার্টিজ আছে যেটা সান বার্ন থেকে প্রোটেক্ট করে। এছাড়াও এতে নিউট্রিশনাল গুণ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ রয়েছে। যার ফলে স্কিন তাড়াতাড়ি হিল হয়ে যায়। আর যদি পিওর অ্যালোভেরা পেতে সমস্যা হয় তাহলে অ্যালোভেরা জেলও ব্যবহার করতে পারেন। যেটা মার্কেটে সহজেই পাওয়া যায়।

এলোভেরা জেল রোজ রাতে শোয়ার আগে লাগিয়ে ঘুমালে প্রতিদিন সকালে স্কিনটা অনেকটা পরিষ্কার লাগে। আর একটা ইন্সট্যান্ট গ্লো ভাব আসে।

মুলতানি মাটিঃ এটা কমবেশি আমরা সবাই জানি যে, মুলতানি মাটি স্কিন সফট করে এবং ব্রণও দুর করতে সাহায্য করে।

এবার আসি দ্রুত ব্রণের দাগ দূর করার উপায় নিয়ে। নিচে প্রাকৃতিক স্ক্রাবার দিয়ে দিলাম। নিয়মিত ব্যবহার করলে ভাল ফলাফল পাবেন নিশ্চয়তা দিচ্ছি।

টমেটো স্ক্রাবার

টমেটো স্ক্রাবার খুব সহজ এবং ন্যাচারাল একটা ঘরোয়া পদ্ধতি। আর এটা ছেলেরাও ইউজ করতে পারে। যেহেতু ছেলেদের স্কিন মেয়েদের তুলনায় অয়েলি আর হার্ড হয় তাই এটা স্পেশালি তাদের জন্য খুবই উপকারী।

ব্রণ দূর করবে টমেটোর স্ক্রাবার

একটা টমেটো নিয়ে সেটাকে ভালোভাবে কুড়িয়ে নিয়ে তার থেকে রস বার করে নিতে হবে। এরপর তার মধ্যে এক চামচ মধু দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। অর্থাৎ মুখে, ঘাড়ে, গলায় বা পুরো বডিতেও আপনি এটা লাগাতে পারেন। এরপর শুকিয়ে গেলে একটু জল নিয়ে স্ক্র্যাপ করে তারপর হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলতে হবে।

টমেটোতে লাইকোপিন থাকে যেটা স্কিনের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া এতে প্রচুর ভিটামিন ই থাকে যেটা মুখের কোনো দাগ, স্পট বা ব্রণও দূর করতে খুবই উপকারী। এটাও যদি প্রতিদিন ইউজ করা যায় তাহলেও স্কিন খুব সুন্দর হয়ে উঠবে।

লেবুর স্ক্রাবার

এই স্ক্র্যাবটা স্পেশালি স্কিনের ট্যান রিমুভের জন্য ব্যবহার করা হয়। এতে স্কিন ট্যান ফ্রি আর উজ্জ্বল থাকে।

 ব্রণ দূর করতে লেবুর রস

একটা পাতি লেবু নিতে হবে। আর তাতে অল্প পরিমাণে লবণ দিতে হবে। যদি আপনার ফুল বডিতে ট্যান থাকে তাহলে আপনি সেই পরিমাণ মতো আপনি নিবেন। পাতিলেবুর রসটা বের করে লবণের মধ্যে সেটা মিশিয়ে ফুল বডি বা হাতে পায়ে সার্কুলার মোশনে স্ক্র্যাব করে লাগাতে হবে।

লেবুর রস আর লবণ যে পোড়া চামড়ার ডেথ স্কিন সেলসগুলো থাকে সেগুলোকে দূর করে ফ্রি এবং পরিষ্কার ও সুন্দর করে। আপনি এটা প্রতিদিন ইউজ করতে পারেন। স্ক্র্যাবটা লাগানো হয়ে গেলে সেটাকে শোকানোর জন্য রেখে দিন। এরপর শুকিয়ে গেলে সেটা ধুয়ে ফেলুন।

আমি এখানে যতগুলো ফেসিয়াল স্ক্রাবের কথা বলেছি, সবগুলোই ছেলে মেয়ে উভয়েই মাখতে পারেন। আর খুব সহজেই এগুলোকে ঘরোয়াভাবে বা বাজার থেকে খুব অল্প কিছু পরিমাণে জিনিস কিনে বানানো যায়। এগুলো একেবারেই পিওর এবং ন্যাচারাল। বাজার থেকে কিনে আনা দামি দামি কসমেটিকস এর মত এতে কোনো ক্যামিক্যাল নেই।

আপনি এগুলোর মধ্যে থেকে আপনার পছন্দমত স্ক্রাবার আর প্যাক পছন্দ করে এপ্লাই করতে পারেন। কিন্তু স্ক্রাবার এবং প্যাক দুটোই ইউজ করা সফট গ্লোয়িং আর পরিষ্কার স্কিনের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এছাড়াও আরো যে যে কারণে ব্রণ হয় তার মতো একটা হলো প্রচুর পরিমাণে ফাস্টফুড আর স্পাইসি খাবার খাওয়া। যেগুলো আমাদের শরীর এবং স্কিনে মারাত্মকভাবে ক্ষতি করে।

ব্রণ দূর করতে খাবার

অত্যধিক ফাস্ট ফুড খাওয়ার ফলে ডেথ সেলসগুলোর ছিদ্র স্কিনে ব্লক হয়ে যায়। যার ফলে প্রোটিন আর সিবামগুলো জমে যেতে থাকে। ফলে স্কিন অয়েলি হতে থাকে। আর তখন স্কিনের ভিতর ব্যাকটেরিয়া জমে স্কিনে ব্লাকহেডস আর পিম্পল তৈরি হয়ে যায়। তাই যতটা পারা যায় ফাস্ট ফুড পরিহার করাই ভালো।

ভিটামিন এ যুক্ত ফল যেমনঃ সবুজ শাকসবজি, গাজর, আলু এই ধরনের জিনিসগুলো খাওয়া স্কিনের জন্য খুবই উপকারী।

এছাড়া বাইরে কোথাও যাওয়ার সময় মেয়েরা মুখে আইশ্যাডো, আইলাইনারস, লিপস্টিক, কাজল ইত্যাদি নানা ধরনের মেকাপগুলো ইউজ করে থাকে। এছাড়াও তারা যে সমস্ত ফেস পাউডার ক্রিম ইউজ করে সেগুলো বাড়ি ফিরে এসে তখনই অবশ্যই ফেইসওয়াশ হোক কি সাবান দিয়ে হোক ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলাটা অত্যন্ত দরকার। কারণ এই মেকাপগুলো মুখে যদি থেকে যায় তাহলে মুখে একটা স্পট পড়তে থাকে। আর চামড়া কুঁচকে বার্ধ্যেকের একটা ছাপ পড়তে শুরু করে।

তাই অবশ্যই বাইরে থেকে এসে মুখের মেকআপগুলো সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে ফেলাটা খুবই জরুরী। যদি আপনি একটা গ্লোয়িং সুন্দর এবং পরিষ্কার স্কিন পেতে চান। আর মুখ ধোয়ার পর টোনার হিসেবে গোলাপ জল লাগানোটাও খুব উপকারী। এ সমস্ত ঘরোয়া উপায়গুলো ফলো করলে ছেলে মেয়ে উভয়েরই স্কিন পরিষ্কার, সফট আর গ্লোয়িং হয়ে উঠবে। যেটা প্রকৃতপক্ষে কনফিডেন্সটাকে বুস্ট করতে অনেকটা সাহায্য করে।

ব্রণ কি? ব্রন কেন হয় এসব ব্যাপারে জানতে পারেন নিচের ভিডিওটি থেকে।

Dr. Md. Saidur Rahman
Asst. Professor of Dermatology
Medical College & Hospital, Bogra
MBBS, FCGP, DDV, FAAD, PHD

লেখাটি পড়ে আপনার জীবনের সমস্যা সমাধানে এতটুকুও উপকার হলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। যাতে তারাও তাদের জীবনের সমস্যার সমাধান খুঁজে পায়। কমেন্ট বক্সে আমাদের অনুপ্রেরণা দিবেন।

আরো পড়ুন- চুল পড়া বন্ধ করার উপায় ঘরোয়া পদ্ধতিতে জেনে নিন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *