বর্তমান সময়ে এণ্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এই প্লাটফরমটি দিনের পর দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, তার অসাধারণ সব এপস এর কারণে। দেখতে অনেকটা আকর্ষণীয় এবং খুব সহজে কাস্টমাইজের সুবিধা থাকায় এণ্ড্রয়েড এর চাহিদা বর্তমানে বাজারের শীর্ষে। আজকের এই আর্টিকেলে এণ্ড্রয়েডের সেরা দশটি এপস নিয়ে আলোচনা করব। যা সব অ্যাণ্ড্রয়েড ইউজারদের ব্যবহার করা উচিত।
চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক, এণ্ড্রয়েডের সেরা ১০ টি এপস নিয়ে।
No 10 – Google Keyboard
খুব দ্রুত মেসেজিং বা টাইপিং এ Go Board এর জুরি নেই। একটি Letter লেখার সাথে সাথে এটি Suggested Word Show করে। যেগুলো আপনার টাইপিং এ সময় বাঁচাবে ও দ্রুত করবে। এছাড়াও এখানে রয়েছে Google Translator । আপনি যদি বাংলা টাইপিং এ দুর্বল হন, তাহলে চিন্তা করবেন্ না। ইংরেজিতে লিখবেন সাথে সাথে বাংলা হয়ে যাবে।
No 9 – FingerPrint Gester
অ্যাপসবারে ঢুকে অ্যাপ্লিকেশন চালু না করে শুধুমাত্র HomeScreen এ আঙ্গুল সোয়াপ করে কাঙ্ক্ষিত এপসে প্রবেশ করতে পারবেন এই এপসটির দ্বারা।
No 8 – FooView
একটিমাত্র Android Apps এ এতো ফাংশন থাকে তা FooView না দেখলে বুঝবেন না। ScreenShot থেকে শুরু করে ট্রান্সলেট, দ্রুত সার্চ, ভিডিও রেকর্ড, ফেচ আইডেনটিফিকেশন এবং FingerPrint Gester এর সব পাবেন এই একটি মাত্র এণ্ড্রয়েড এপস এ।
No 7 – Hermit
এণ্ড্রয়েড মোবাইলে মেমোরি স্পেস বাঁচাতে Hermit এর বিকল্প নেই। এই একটি মাত্র এপসে পেয়ে যাবেন সকল সোস্যাল মিডিয়া। সাথে থাকছে সার্চ ইঞ্জিন ও নিউজ এপস।
আলাদা এপস ডাউনলোড করা ছাড়াই খুব সহজেই মেমোরি বাঁচিয়ে একটি এপসেই কাজ কম্পিলিট।
No 6 – Twilight
যদি সারাদিন এর হিসাব করি, তাহলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা প্রায়ই বেশির ভাগ সময়ই মোবাইল ব্যবহার করি। কিন্তু মোবাইল স্ক্রিন থেকে আসা ক্ষতিকর আলোকরশ্মি প্রতিনিয়তই আমাদের ক্ষতি করে যাচ্ছে।
এটি আমাদের আইস্ট্রেইন থেকে শুরু করে মাইগ্রেনের ব্যথার জন্য দায়ী। তাই এ ক্ষতিকর আলোকরশ্মি থেকে বাঁচতে সাহায্য করবে Twilight এপসটি। এটি মোবাইল স্ক্রিনে একটি লাল আভা সৃষ্টি করে। যা ক্ষতিকর রশ্মিকে প্রতিহত করে। সবার মোবাইলেই এই এণ্ড্রয়েড এপস টি থাকা অত্যন্ত জরুরি।
No 5 – Camera 360
এই এপসটির গুণাগুণ বলেও শেষ করা যাবে না। আমার খুব পছন্দের একটি এপস। যেটার মাধ্যমে ইডিট করে আমার সব ছবি ফেসবুকে পোস্ট করি। সাধারণ কোন ছবিকে অসাধারণ করতে এর কোন জুড়ি নেই। অসাধারণ সব ইফেক্ট ও কাস্টমাইজেশন এর সুবিধা রয়েছে Camera 360 তে। যারা এই Android Apps টি একবার ব্যবহার করেছেন, শুধুমাত্র তারাই এর মজা জানেন।
No 4 – Adobe Photoshop Express
Camera 360 এর মতো দারুন সব ইফেক্টে ভরপুর এই এপস্টি। তবে ইডিট এবং কাস্টমাইজেশন এতো বেশি রয়েছে যে, আপনি সাত দিনেও শিখে শেষ করতে পারবেন না। পিকচার এ প্রফেশনাল লুক দিতে চাইলে Adobe Photoshop Express এর জুড়ি নেই।
No 3 – No Root Firewall
অনাকাঙ্ক্ষিত ডাটা বা মেগাবাইট বাঁচাতে এবং ব্যাটারির লাইফ দীর্ঘ করতে Firewall এপসটি আপনাকে সহায়তা করবে। এপসটিতে প্রবেশ করে যে যে এপসগুলোকে ডাটা কানেকশন এর বাইরে রাখতে চান সেগুলোকে ম্যানুয়ালি সিলেক্ট করে প্রতিরোধ করতে পারবেন।
No 2 – Space Up
মোবাইলে যে এপসগুলো বড় জায়গা দখল করে আছে, সেগুলো Space Up Android Apps এর মাধ্যমে কম্প্রেজ করে একেবারে ছোট সাইজে নিতে পারবেন। এতে এপস Uninstall করা ছাড়াই নতুন এপস Install করার জন্য অনেক জায়গা ফাকা পাবেন। যার ফলে আপনার প্রিয় ফোনটিও আগের থেকে অনেক ফাস্ট হবে।
No 1 – Music Match
আমার সবচেয়ে পছন্দের একটি অ্যাণ্ড্রয়েড এপস এটি। ইংরেজি শেখার একটি দারুন মাধ্যম বলতে গেলে। যে কোন ইংরেজি অথবা হিন্দি গান শোনার সময় যদি মোবাইল ডাটা অন রাখেন, তাহলে বাংলা সহ ১৫-২০ টি ভাষায় গানটির লিরিক্স দেখতে পাবেন। পছন্দের গানটির সাথে লিরিক্স দেখতে কার না ভালো লাগে, সেই সাথে ইংরেজিটাও আপনার আয়ত্তে চলে আসবে। যারা ইংরেজি শেখার প্রিপারেশন নিচ্ছেন তাদের জন্য এই এণ্ড্রয়েড এপস টি সত্যিই অনেক কার্যকর।
আরও পড়ুন- স্মার্টফোন কেনার আগে জেনে নিন কিছু জরুরি টিপস
আসসালামু আলাইকুম।আমি আপনাদের ওয়েবসাইটে নতুন আমার কাছে খুব ভালো লাগছে।আশা করি ভবিষ্যৎে আরো ভালো করবেন।শুভ কামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাই, সাথে থাকবেন।
সাথে থাকবেন ধন্যবাদ