ধরো, বাজার থেকে তুমি একটা গিফট কিনে এনেছো, কিন্তু সেটা তুমি কাউকে দাও নি, তাহলে গিফটটা কার কাছে থেকে গেল? হ্যাঁ, গিফটটা তোমার কাছেই থেকে গেল। আর ওটা যদি কেউ নাও নেয়, তাহলেও সেটা তোমার কাছেই থেকে যাবে। ঠিক সেরকমই কেউ যদি তোমাকে অপমান করতে চায় আর তুমি যদি তা না নাও তবে অপমানটা তার কাছেই থেকে যাবে। হ্যাঁ তুমি না গ্রহণ করলে অপমানটা অপমান কারীর কাছেই থেকে যাবে।
সবি বুঝলাম কিন্তু অনেক অপমান সহ্য করা যায় না। মন খারাপ হয়। তখন কি করবো? শুধু কি চুপ করে শুনে যাবো! আর কাঁদবো। নাকি এমন কোনো উপায় আছে, যে শুনতেও হবে আবার কাঁদতেও হবে না। হ্যাঁ আছে তবে যদি তুমি কয়েকটি বিষয় মেনে চলো। আজকে আমরা ‘অপমানের জবাব’ এ বিষয়েই জানবো।
আইডিয়া ১: সেন্স অব হিউমার
কোন কথাটা ফানি আর কোন কথাটা অপমানজনক- এতটুকু আগে বুঝতে শেখো। কেউ কিছু বললে সাথে সাথে নিজের গায়ে মেখে রিয়াক্ট করো না। অপমানজনক কথায় যদি নিজের ভুল থাকে তবে নিজে অনুতপ্ত হও, নিজেকে শুধরে নাও। কিন্তু কেউ যদি তোমাকে রাগানোর জন্য অপমান করে তবে চুপ থাকো। এটাই Sense of Humor যা ভদ্র লোকদের কাজ।
বানরকে ভেংচি কাটলে বানর রাগ করে লাফালাফি শুরু করে। মানুষ এটা দেখে আনন্দ পায়। আর এ জন্যই মানুষ বানরের সামনে ভেংচি কাটে, হরিণের সামনে নয়।
আইডিয়া ২: চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে থাকা
তুমি যদি মোটা হও, আর কেউ যদি তোমাকে ক্ষেপাতে চায় তাহলে মাথা নিচু করে থেকো না। এটা তোমার দুর্বলতা প্রকাশ করে। অপমানকারীর চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে থাকো। যতক্ষণ না পর্যন্ত সে নিজের চোখ সরিয়ে নেয়।
দ্বিতীয়বার তোমার দিকে তাকিয়ে সে যদি দেখে যে, তোমার মুখের এক্সপ্রেশনে কোনো রাগ বা বিরক্তির ছাপ নেই। তবে ধরে নাও তুমি ৫০% জিতে গেছো। নেক্সট টাইম সে তোমাকে অপমান করার আগে সে দশবার চিন্তা করে।
আইডিয়া ৩: গ্রহণ করো ও দাত কেলিয়ে হাসো
বিনা কারণে অপমান করার প্রধান উদ্দেশ্য হলো তোমাকে রাগানো ও সবার সামনে ছোট করা। কিন্তু তুমি যদি না রেগে উলটো হাসির রিয়াকশন দাও তবে অপমানকারী নিরাশ হয়ে যাবে। কিন্তু যে কথাটা সে বলেছে, তা যদি সত্যি হয় তবে তা গ্রহণ করো। নিজের বুদ্ধি ও যুক্তি দিয়ে শুধু একবার ভদ্রভাবে অপমানের জবাব দাও।
যদি কেউ তোমাকে কালো বলে, তবে তুমি তার দিকে তাকিয়ে থাকবে কয়েক সেকেণ্ড। তারপর হাসি দিয়ে বলবে, বাকের ভাই আমি কালো এটা আমি জানি। তবে মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। আজ আমি কালো বলেই আপনার সৌন্দর্য্যের মূল্য আকাশছোয়া। এভাবে তুমি ঠাট্টা মশকরার ছলে দু-এক কথায় জবাব দিতে পারো।
আইডিয়া ৪: ভালো ব্যবহার
কেউ এমনি এমনি কিন্তু অপমান করে না। তোমার প্রতি ঈর্ষা, রাগ ও ক্ষোভ আছে বলেই তোমাকে কিছুটা শোধ দেয়ার জন্য অপমানকারী অপমানমুলক কথা বলবে। এক্ষেত্রে তোমার ভালো ব্যবহারই হতে পারে অপমানকারীর মনোভাব পাল্টানোর ও তোমার প্রতি ভালোবাসা আনার একমাত্র ঔষধ। ধৈর্য্যের সাথে ভালো ব্যবহার করে যাও। দেখবে একদিন না একদিন সে নিজের কৃতকর্মের জন্য অবশ্যই পস্তাবে।
যাইহোক, বেহায়াদের অপমান করা খুব কঠিন। তাই লাইফে ভালো থাকার জন্য একটু বেহায়া হতেই পারো। আর মনে রাখবে আশেপাশের কাছের মানুষ ও বন্ধুদের যে কথায় তুমি অপমান বোধ করছো তার ৮০% কিন্তু ফান বা দুষ্টমি কিংবা লুকিয়ে থাকা তোমার প্রতি ভালোবাসা।
তাই হুটহাট রিয়াক্ট না করে ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে দেখো। আর যদি হুটহাট রিয়াক্ট করে রেগে গিয়ে বকাবকি করাই তোমার চরিত্র হয় তবে একজন পাগলের সাথে তোমার কি পার্থক্য বলো? অপমান আর যাইহোক না কেন তোমার ভুলগুলো শুধরানোর পথ দেখায়। জ্ঞানীরা অপমানকে বিশ্লেষণ করে নিজেকে পরিবর্তন করে। আর মূর্খরা রেগে গিয়ে কেদে মরে।
আজ এ পর্যন্তই। শুধুমাত্র তোমাদের জন্যই মূল্যবান সময় ব্যয় করে ভিডিওগুলো তৈরি করে যাচ্ছি। তোমরা উপকৃত হলেই আমাদের সার্থকতা। তোমার করা ছোট একটি লাইক আমাদের দিতে পারে পরবর্তী ভিডিও তৈরির অনুপ্রেরণা।
ভিডিওটি ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করো। আর যে কোনো মতামতা জানাতে ও তোমাদের যে কোনো সমস্যা আমাদের কমেন্ট করে জানাও।
আরও পড়ুন- দুশ্চিন্তা মুসিবত ও পেরেশানী দূর করার সহজ উপায়