১ মাসেই পরীক্ষার প্রস্তুতি: গবেষকদের মতে কোন বিষয় যত কঠিনই হোক না কেন তা ভালোভাবে আয়ত্ত করার জন্য প্রায় ২০ ঘণ্টাই যথেষ্ট। অর্থাৎ দৈনন্দিন ১ ঘণ্টা করে পড়লে ২০ দিনে ২০ ঘণ্টা কম্পিল্ট হয়ে যায়। আর যে কোন পরীক্ষার আগে আমরা কমপক্ষে এক থেকে দেড় মাস সময় পাই। তবুও আমরা ভাল করতে পারি না কেন?
উত্তরটা এতক্ষণে মাথায় এসেছে নিশ্চয়ই। হ্যাঁ আসলে আমরা ২০ ঘণ্টা সময় কোন বিষয়ে প্রতি তিন মাসেও দিতে পারি না। তাই আজকে শেয়ার করবো, কিভাবে শুধু মাত্র পরীক্ষার এক মাস আগে থেকে পড়লেই অনেক ভাল ফলাফল করা যায়। এটা শুনে নিশ্চয়ই ধরে নিবেন না যে, শুধু এক মাস পড়লেই রেজাল্ট ভাল হয়। বরং দেখে নিন ১ মাস স্মার্টলি পড়াশুনা করেও কিভাবে ভাল রেজাল্ট করা যায়?
Idea 1: Time Management
প্রতি বিষয় ২০ ঘণ্টা পড়ার জন্য প্রথমে একটা তালিকা করে নিতে হবে। যেমনঃ আপনার মোট সাবজেক্ট ৬ টি। ১ টি Subject ১ ঘণ্টা হলে ৬ টি Subject ৬ ঘণ্টা। অর্থাৎ দিনে আপনাকে ৬ ঘণ্টা করে পড়তে হবে এবং ২০ দিনে প্রতিটি Subject ২০ ঘণ্টা করে পূর্ণ হবে।
মাত্র ২০ দিনেই আপনার সিলেবাস কম্পিল্ট। তাহলে বাকি ১০ দিন কি করবেন? ব্যাকবেঞ্চাররা ভাবছেন এই দশদিন ঘুমিয়ে আড্ডা দিয়ে কাটাবো। আসলে বিষয়টি তা নয়! এই দশদিন আপনি রিলাক্স করে পড়েন। কিন্তু পড়াগুলোকে বার বার রিভিশন দেন।
কঠিন পড়াগুলো দশদিনের শুরু থেকে বেশি সময় দিতে হবে। এতে পড়া সহজ হওয়ার পরীক্ষায় আগে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। ভুলেও কঠিন বিষয়গুলো পরীক্ষার আগ মহূর্তের জন্য রাখবেন না। এতে হতাশ হয়ে যেতে পারেন।
Idea 2: Smart Study
এতক্ষণে Time mangement নিশ্চয়ই সবার মাথায় ঢুকেছে। কিন্তু কিভাবে পড়লে ২০ দিনে পড়া কম্পিল্ট হবে? তা জানতে মনটা ব্যাকুল হয়েছে নিশ্চয়ই! তবে নিচের টুকু মনোযোগ দিয়ে পড়ুন –
একজন শিক্ষক প্রশ্ন তৈরীর সময় বিগত বছরের প্রশ্নগুলোর সাথে সামঞ্জস্য করে প্রশ্ন তৈরী করেন। নূণ্যতম সবার পাশ করার জন্য ২০% কমন বিগত প্রশ্ন থেকে আসে। আর ভাগ্য ভালো হলে ৫০-৭০% কমনও আসে। তাই সিলেবাসের সাথে বিগত বছরের প্রশ্ন যেগুলো কমন আছে, তা দাগিয়ে আলাদা করে রাখতে হবে। পাশাপাশি সেগুলো বার বার অনুশীলন করতে হবে।
Idea 3: Answering Questions
একটি প্রশ্নের উত্তর হয়তো বাইরে ১৫ থেকে ২০ লাইন দেয়া আছে। কিন্তু আপনি যদি প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর লাইন বাই লাইন মুখস্ত করে পরীক্ষা দিতে চান তাহলেই বড় ভুল হবে। বেশির ভাগরই মুখস্ত শক্তি অতটা প্রখর নয়। তাই প্রশ্নের যে প্রধান উত্তর আছে সেটা আগে নির্বাচন করতে হবে এবং নিজ হাতে সেটা লিখতে হবে।
পাশাপাশি যে যে লাইনগুলো তার সাথে সম্পর্কিত সেগুলো যুক্ত করতে হবে। অর্থাৎ আপনার মতো করে সহজ লাইন যে গুলো আপনার মনে থাকবে তার একটা নোট করতে হবে। এতে লেখা ও পড়া দুটোই একসাথে হবে এবং দ্বিতীয়বার পড়তে অনেক সহজ লাগবে।
Idea 4: পরীক্ষার আগের রাতের প্রস্তুতি
এতক্ষণ যে স্মার্ট স্টাডির কথা বললাম তা যে অনেকেই করতে পারবেন না তা সবার জানা। পরীক্ষার ১ দিন আগে কিংবা পরীক্ষার রাত যেটাকে আমরা চাঁদরাত বলি। অনেক স্টূডেন্ট আছে যারা এই সারা রাত জেগে পরের দিন পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন। এমনটি কিন্তু আমার ক্ষেত্রেও ঘটেছে অনেকবার। একরাত পড়ে পরীক্ষা পদ্ধতি শুরুর প্রাককাল থেকেই এটি ঘটে আসছে। আপনি আমি চাইলেও এটি রোধ করতে পারবো না।
তাই যারা আগের রাতে পড়াশুনা করে পাশ করতে চান তাদের জন্য কিছু টিপস-হাতে মাত্র ১ দিন, কিন্তু পড়া পাহাড় সমান, পাশ নিয়ে দুশ্চিন্তিত, কিন্তু পাশ করতে তো মাত্র ৪০ মার্কসই লাগে, এ আবার এমন কি? কত সহজে বললাম? হুম অনেক সহজ! মাথা ঠাণ্ডা রেখে একটি সাদা পেজ নিয়ে বসুন।
চিন্তা করুন কিংবা ক্লাসের টপারদের জিজ্ঞেস করুন, কোন কোন বিষয় থেকে প্রশ্ন হস্তান্তর সম্ভাবনা আছে। তার একটি লিস্ট তৈরী করুন। বিগত সালের প্রশ্ন যেগুলো আপনার সিলেবাস অন্তর্ভূক্ত যেগুলো চিহ্নিত করে ফেলুন। ব্যাস, কাজ কম্পিলিট।
এখন পড়তে বসা ভুলেই সব পড়তে যাবেন না। শুধুমাত্র আপনি সাদা কাগটিতে যে যে টপিকসগুলো লিখেছেন তা পড়বেন। প্রতিটি টপিকসের একটি শর্ট নোট তৈরি করে ফেলুন। পড়তে বসে সময় নষ্ট করা অন্য কোন কাজ করবেন না। মোবাইল হাতের কাছে থেকে দূরে রাখবেন। পড়ার সাথে সাথে লিখবেন এবং পরীক্ষার দিন সকালে সব পড়াগুলো একটি বার হলেও রিভিশন দিয়ে নিবেন।
আপনার সফলতা আমাদের সার্থকতা। পয়েন্টগুলো ভালো ভাবে বোঝার জন্য ভিডিওটি বেশ কয়েকবার দেখুন। বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং আরো ভাল কোন টিপস জানা থাকলে কমেন্ট বক্সে সবাইকে জানিয়ে দিন।
আরও পড়ুন- পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাওয়ার উপায় জেনে নিন