বোর্ড পরীক্ষার খাতায় লেখার গোপন টেকনিক: সুপ্রিয় ভাই ও বোনেরা কেমন আছ সবাই? আশা করি ভাল আছ। যদি ভাল না থাক তাহলে কি কারণে ভাল নেই তা আমাদের কমেন্ট করে জানাও, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব তোমাকে ভাল কোন সমাধান দেওয়ার। আজ তোমাদের কমেন্টের উপর ভিত্তি করে পরীক্ষায় কি করা যাবে আর কি করা যাবে না, যেগুলো ভুল করলে পরীক্ষায় অনেক ভাল লিখেও নম্বর কম পাবে। আজ তাই আমি অনেক ঘাঁটাঘাঁটি আর গবেষণা করে তোমাদের জন্য গুরত্বপূর্ণ কিছু টিপস নিয়ে এসেছি।
কমদামী হালকা কলম ব্যবহার করা
তোমরা যারা মনে কর যে দামী কিংবা মোটা কালী কলম ব্যবহার করলে লেখা অনেক সুন্দর হবে, বেশি নম্বর পাওয়া যাবে তাহলে এই ধারণা আজ থেকে বাদ দেও। কেননা দামী কলম সাধারণর ভারি বা ওজন বেশি থাকে। দৌড়ানর সময় যদি তোমার ঘাড়ে বস্তা দেয়া হয়, তাহলে কি বেশিদূর যেতে পারবে? না, কারণ খুব সহজে ক্লান্ত হয়ে পড়বে। তেমনি দামী কলম সাধারণত ভারী হয়, যেটা দিয়ে বেশীক্ষণ বা স্পীডে লেখা যায় না, আমিতো ৫ টাকা দামের কলম ব্যবহার করি তাও আবার লেখার সময় কলমের হেড খুলে রাখি, যাতে কলম ভারী না হয়, আর এমন কলম ব্যবহার করি যেটির গা আঠালো, যাতে ঘেমে না যায় বা স্লীপ না করে।
তুমি যদি এই কমদামী কলম কিছুটা আগেই ব্যবহার করে নাও তবে পরীক্ষার হলে এটি দামী কলমের মত ডিব হয়ে ফুটে উঠবে। আর দামী কলমের কালি অতিরিক্ত মোটা হওয়ার জন্য খাতার অন্যপাশটায় বিশ্রী দেখায়। তাই খুব দ্রুত আর ফ্রেস লেখা চাইলে কমদামী আঠাওয়ালা কলম ব্যবহার কর, যেমনটা ম্যাটাডর পিন পয়েন্ট।
অনেকে মনে করে যে খাতায় মার্জিন টানার কোন দরকার নেই, এমনি ভাজ করলেই হবে। তাদের জন্য বলি খাতা ভাজ করে লেখা ভার্সিটি বা উচ্চশিক্ষায় করা যায়। কিন্তু বোর্ড পরীক্ষায় এটি গ্রহণযোগ্য নয়। তোমাকে অবশ্যই খাতায় মার্জিন দিতে হবে ১ স্কেল পরিমাণ উপরে এবং খাতার বা পাশে। মার্জিন অবশ্যই পেন্সিল দিয়ে দিতে হবে, আর পেন্সিল সার্প হতে হবে, যাতে মার্জিন চিকন ও সুন্দর হয়।
প্রশ্ন পড়া ও সহজ উত্তর দিয়ে শুরু করা
পরীক্ষায় প্রশ্ন পেয়ে যারা সাথেসাথে লেখা শুরু করে দাও, তারা আমাকে বলত যে কোনকিছু ছেড়ে আস কিনা বা পরে বুঝতে পেরে আফসোস কর কিনা? অবশ্যই প্রশ্ন ২/১ বার এ টু জেট ভালভাবে না পড়লে মিসিং হওয়ার সম্ভাবনা থাকবেই আর উত্তরও ভাল হবে না তুমি যখন প্রশ্ন পড় তখন তোমার ব্রেন সেই প্রশ্নের সাথে উত্তর খোজা শুরু করে। তোমার এত এর পড়ার মাঝে কোন উত্তরটা ঐ প্রস্নে হবে তা ব্রেন ঠিক করা শুরু করে। তাই যারা প্রস্ন পড়াটাকে সময় নষ্ট মনে কর, তারা ভুল ধারণা নিয়ে আছ।
ব্রেনকে যদি আগেই প্রশ্ন না জানাও তবে হুট করলে লেখার সময় জানা উত্তরটাও ভুলে যাবে। এজন্য প্রস্ন অবশ্যই পড়বে, প্রশ্নের লেজ হালকা করে দাগিয়ে রাখবে যাতে মিসিং না হয়, আর সবচেয়ে সহজ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে লেখা শুরু করবে, কঠিন প্রশ্নগুলোর উত্তর শেষে দেবে। সহজ উত্তর দিয়ে লেখা শুরু করলে ব্রেন রিলাক্স হবে, কঠিন প্রশ্নের উত্তর আগে লিখে আগেই যদি ব্রেনকে ঘাবড়িয়ে দেও তাহলে পরীক্ষা নিশ্চিত খারাপ হবে যত ভাল প্রিপারেশন নাও না কেন। সবার আগে প্রশ্ন পড়ার আরেকটা উপকার হল প্রশ্নের কোন প্রিন্টিং মিস্টেক আছে কিনা তা জানা যায়।
মূল উত্তর সবার আগে ও প্যারা করা
পরীক্ষায় লেখার সময় নম্বরবন্টন অনুযায়ী লিখবে। যেটাতে কম নম্বর আছে সেটা অনেক বড় করে লিখে শুধু শুধু সময় অপচয় করবে না। যাইহোক লেখার সময় অবশ্যই প্যারা করে লিখবে এতে অল্প লিখেও ভাল নম্বর পাওয়া যায়। সৃজনশীল বা এমনি সাধারণ প্রশ্ন হোক না কেন বড় উত্তরের জন্য প্যারা করে লিখলে বেশি নম্বর পাওয়া যায়।
এজন্য প্রথম প্যারা ৩/৪ লাইনে মূল উত্তর লিখতে হবে, তারপর ১ আঙ্গুল ফাকা দিয়ে দ্বিতীয় প্যারায় বর্ণনা দিতে হবে, সময় পেলে তৃতীয় প্যারায় শেষকিছু কথা উত্তর রিলেটেড ২/৩ লাইনে দিতে পার। একটা কথা মাথায় রাখবে প্রশ্নের মূল উত্তরটা প্রথম প্যার্যায় দিয়ে দিবে, অনেক শিক্ষক আছে যারা খাতা ভালভাবে দেখেন না, তাই তারা তোমার আসল উত্তর খুঁজে বেড়ার জন্য তোমার সব লেখা পড়বে না।
তাই সবাই যেহেতু প্রথম লাইনগুলোই পড়ে, তাই মূল উত্তর প্রথমে দেয়া আবশ্যক। তোমার মূল উত্তর খোঁজার জন্য শিক্ষকের অত পড়ার সময় বা ইচ্ছা নাও হতে পারে। তাই সাবধান, মূল উত্তর সবার আগে, আর অপ্রাসঙ্গিক কথা লেখা যাবে না কোনভাবেই। এতে নম্বর কম পেতে পার।
প্রশ্ন কমন না পেলে অনেকে হাবিজাবি অহেতুক বিষয় লিখে যেটা পরীক্ষকের কাছে বিরক্তিকর। পরীক্ষায় প্রশ্ন কমন না পেয়েও কিভাবে স্মার্টলি লেখা যায় এ নিয়ে আমাদের Bangla Motivational Speech চ্যানেলে ভিডিও আছে।
বিজ্ঞান বিভাগের জন্য টিপস
যদি তুমি বিজ্ঞান বিভাগের স্টুডেন্ট হও তবে আমার একটা ছন্দ মাথায় রাখবে-
আপা/ভাইজান,
রসায়নে বিক্রিয়া দিয়া যান,
পদার্থে সূত্র, জীববিজ্ঞানে চিত্র
নম্বর ভাল পাবার এটাই সূত্র।
তুমি যত লেখ না কেন রসায়নে যে প্রস্নের উত্তরে বিক্রিয়া আছে তা যদি না দাও তবে নাম্বার কম পাবে। প্রস্নে বিক্রিয়া চাক বা না চাক তোমাকে নিজ দায়িত্বে দিতে হবে। তেমনি পদার্থে সমাধানের জন্য দেওয়া আছে লিখে সূত্র আর জীববিজ্ঞানে চিত্র দিতেই হবে, দিতে বলুক আর নাই বলুক। তবে নম্বরবণ্টন অনেক কম থাকলে না দিলেও হবে।
মানবিক এবং ব্যবসা বিভাগের জন্য টিপস
মানবিক এবং ব্যবসা শাখার জন্য একটা বুলেট টিপস আছে, সেটা হল- নিজের মত করে কৌশলে লেখা। এর মানে হল বিজ্ঞান বিভাগে বানিয়ে লেখা বেমানান কিন্তু তোমরা অনেক কিছু বানিয়ে লিখতে পার। যেমন- ঈসা খার চরিত্র বর্ণনা অনেক বড় করে বানিয়ে লিখতে পার, আবার ব্যবসা বিভাগে বাজার, মার্কেটিং অনেক বিষয় আছে যেগুলো সচরাচর আমাদের জীবনে ঘটে, একটু বুঝে কৌশলে লিখলে অনেক কিছু লেখা যায়।
তবে সবাই একটা বিষয় মাথায় রাখবা যে- উত্তরের সাথে সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে শুধু লিখবে এর বাইরে অপ্রাসাঙ্গিক বিষয় লিখবা না। এতে হিতে বিপরীত হয়ে যাবে। পরীক্ষার খাতা ফেসবুকের কমেন্ট বক্স মনে করবা, কারণ আমরা কমেন্ট এমনভাবে করি যাতে সেটা বেশি লাইক পায় এবং গুরুত্ব বহন করে। তাই ভাল কমেন্ট লিখছ ভেবে খাতায় লিখবা।
বোর্ড পরীক্ষার খাতায় লেখার নিয়ম
খাতায় লিখার সময় অনেকে কাটাকাটি বা ঘজামাজা করে, এটা একেবারে করা যাবে না। একটানে ভুল কেটে দিতে হবে। আর কোন শব্দ বাদ গেলে বাক্যের যে খানে ঐ শব্দটি বসবে সেখানে এরকম চিহ্ন দিয়ে ছোট করে উপরে লিখবে। রাফ অবশ্যই খাতার শেষের পাতায় করবে আর সেখানে উপরে বড় করে লিখবে রাফ।
প্রশ্নের লেজের উত্তর দিলে তা অবশ্যই আগের উত্তরটার দুই আঙ্গুল পরে থেকে লেখা শুরু করবে, কারণ একসাথে লিখলে পরীক্ষক অনেক সময় বুঝতে পারে না এবং নম্বর কম দেয়। তাই ফাকা দিয়ে লেজের উত্তর দেয়া শুরু করবে, লেজ প্রশ্ন যদি নাম্বারিং করা থাকে তবে নাম্বার লিখবে এবং তার নিচে দুই টান দিয়ে বা সবুজ কালি দিয়ে টান দিবে, এতে পরীক্ষকের চোখে পড়বে।
সবচেয়ে ভাল ভাবে উত্তর লেখার জন্য অবশ্যই তোমাকে প্রশ্ন রিপিট করতে হবে। যেমন প্রস্নে দেয়া আছে- মানবজীবনে অক্সিজেনের গুরুত্ব কি? তাহলে উত্তর লিখবে এভাবে- মানবজীবনে অক্সিজেনের গুরুত্ব: এভাবে লিখে কোলন দিবে, তারপর এক শব্দ ফাকা দিয়ে লেখা শুরু করবে। অল্প লিখে বেশি নম্বর যতি পেতে চাও বা পুরো নম্বর পেতে চাও তবে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখবে এবং এপ্লাই করবে-
বৈশিষ্ট্য/গুরুত্ব/অবদান ইত্যাদি বিষয় পয়েন্ট আকারে লিখতে হবে, এভাবে-
মানবজীবনে অক্সিজেনের গুরুত্ব নিচে দেয়া হল:
i) শ্বসন কাজে অক্সিজেন প্রাধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করে।
i) অক্সিজেন আমাদের শ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ হয়ে শারীরিক সমস্ত কাজে ব্যবহৃত হয়।
এভাবে রোমান পয়েন্ট দিয়ে লিখতে হবে, এতে নম্বর পুরো দেয়।
- মিল/অমিল/সাদৃস্য/বৈসাদৃস্য লেখার জন্য অবশ্যই ছক করতে হবে।
- চিত্র দিলে অবশ্যই চিত্রের নিচে চিত্র লিখে নাম দিতে হবে।
এক্সট্রা পেপার নেয়া
লুজসিট বা এক্সট্রা পেপার নিলে অবশ্যই আগে রোল লিখবে সেখানে তারপর মার্জিন দিয়ে লেখা শুরু করবে। মূল খাতার একটা পাতা ফাকা থাকা অবস্থাই লুজ নিবে নইলে শেষ সময়ে লুজ নাও থাকতে পারে, যেটা তোমার জন্য সময়ের অপচয় ঘটাবে। লুজ সিট সেলাই করার সময় কোন হালকা বাধন দিবে না নইলে কোথায় লেগে খুলে যেতে পারে। এজন্য অবশ্যই ইচ্ছামত পেঁচ বা বাঁধন দিবে, যেটা তোমার পক্ষে খোলা সম্ভব নয়, কেটে ফেলা ছাড়া।
পরীক্ষার খাতায় যেগুলো করা যাবে না
আমার আব্বু শিক্ষক হওয়ায় আমি এমন অনেক খাতা দেখেছি যেখানে লেখা ছিল স্যার/ম্যাডাম এটা আমার নাম্বার প্লিজ আমাকে পাশ করে দিবেন, আমি আপনাকে টাকা পাঠাব ইত্যাদি নানা আবেগি কথা। যেগুলো কড়া শিক্ষকের কাছে গেলে সে যদি ফেল করে দ্যে তোমাকে পাশ করার পরেও তাহলে কিছু করার থাকবে না। তাই এগুলো থেকে সাবধান।
বসার সিট চেক করে নাও
তুমি পরীক্ষার যে সিটে তুমি বসেছ তা খুব ভালভাবে চেক করে নাও, কোন নকল বা লেখা আছে কিনা। যদি থাকে তাহলে তা আগেই এক্সাম গার্ডকে জানিয়ে দাও, ভাঙ্গা চেয়ার বা সিটের কোন সমস্যা থাকলে চেঞ্জ করে নাও। এজন্য পরীক্ষার হলে ৩০ মিনিট আগে যাওয়া ভাল। এতে ঠাণ্ডা মাথায় রোল নম্বর এবং অন্যান্য বিষয় পূরণ করা যায়। এ সময় কোন ভুল হলে বা ডাবল হয়ে গেল স্যারকে তা জানও। কোন খামখেয়ালি করো না, নইলে কাঁদতে হবে।
পরীক্ষার খাতায় নাম্বারিং করা
পরীক্ষার খাতায় উত্তর লেখার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম এভাবে ফলো কর-
বাংলায় উত্তর লিখলে ১ নং প্রশ্নের উত্তর তারপর নিচে একটা টান, দুই আঙ্গুল পরে এবার উত্তর লেখা শুরু কর।
ইংরেজিতে উত্তর লিখলে Ans to the ques no-1
গণিতের জন্য ১ নং সমস্যার সমাধান
এভাবে লিখলে কোন উত্তর শিক্ষকের চোখে মিসিং হবে না, এবং এটা অনেক স্মার্ট পদ্ধতি। একটি প্রশ্নের বাকি বা লেজ উত্তর গুলো অবশ্যই একটু ফাকা দিয়ে শুরু করবে যাতে শিক্ষকের নজরে পড়ে।
একটা কথা মনে মনে ভাববা যে তোমার খাতা দেখবে- সে অনেক রাগি, চোখে কম দেখে, বোঝে কম। তাহলে তোমার উত্তর পারফেক্টলি কেমন হওয়া উচিত এবার ভেবে দেখ। এভাবে মনে করলে অনেক ভাল ভাবে লিখতে পারবা। যত গুরুত্ব দিয়ে লিখবা তত ভাল হবে। আর যদি ভাব যে ধুর কোন সমস্যা হবে না, চলবে তাহলে আর কি? খারাপ হবেই নিশ্চিত থাক।
কেন মেয়েরা ছেলেদের থেকে ভাল রেজাল্ট করে জান? কারণ মেয়েরা অনেক গোছাল আর মনযোগি হয়। আর চঞ্চলতা আর খামখেয়ালির জন্য অনেক ভাল ছেলে পরীক্ষায় ভাল করতে পারে না। শুধু ভাল ছাত্র হলেই হবে না ভাইয়া/আপু পরীক্ষায় কিছু পদ্ধতি এপ্লাই করতে হবে আর এজন্যই তো এই ভিডিও করা, এত বকবকানি আমার।
বোর্ড পরীক্ষার খাতায় লেখার ১৫টি টিপস
এতক্ষণ পুরো বিষয়টির যদি সারমর্ম করি তাহলে যে বিষয়গুলো দাঁড়ায়-
- খুব সাধারণ কম দামী ও রানিং কলম ব্যবহার করতে হবে। ভুল হলে কাটাকাটি না করে একটানে কেটে দিতে হবে।
- খাতায় পেন্সিল দিয়ে এক স্কেল পরিমাণ মার্জিন দিতে হবে
- পুরো প্রশ্ন ভালভাবে পড়তে হবে প্রিন্টিং মিস্টেক থাকলে বদলিয়ে নিতে হবে, লেজ প্রশ্ন হালকা দাগ দিয়ে রাখতে হবে যাতে মিসিং না হয়।
- উত্তর প্যারা করে লিখতে হবে, প্রথম প্যারায় মূল উত্তরটা দিয়ে দিতে হবে।
- রসায়নে বিক্রিয়া, পদার্থে সূত্র, আর জীববিজ্ঞানে চিত্র দিতে হবে।
- মানবিক ও ব্যবসায় যে প্রশ্ন গুলো বানিয়ে লেখা যায় তা কৌশলে পয়েন্ট করে বানিয়ে দিতে হবে।
- প্রশ্নের লেজের উত্তর দুই আঙ্গুল ফাকা দিয়ে দিতে হবে।
- বৈশিষ্ট্য/গুরুত্ব/অবদান ইত্যাদি বিষয় পয়েন্ট আকারে লিখতে হবে।
- মিল/অমিল/সাদৃস্য/বৈসাদৃস্য লেখার জন্য অবশ্যই ছকে দিতে হবে।
- চিত্র দিলে অবশ্যই চিত্রের নিচে চিত্র লিখে নাম দিতে হবে।
-লুজসিট বা এক্সট্রা পেপার নিলে অবশ্যই আগে রোল তারপর মার্জিন দিয়ে লেখা শুরু করতে হবে। লুজ সিট গিট্ট সেলাই দিতে হবে।
-পরীক্ষার হলে ৩০ মিনিট আগে যেতে হবে, পরীক্ষার সিট চেক করে নিতে হবে ভালভাবে। - পরীক্ষার আগে ভারী খাবার ও ভাজাপড়া খাওয়া যাবে না।
- হাত ঘামলে রুমাল রাখতে হবে, পানির পিপাসা লাগলে বোতল নিতে হবে, বোতল অবশ্যই নিচে রাখতে হবে, যাতে পানি খাতায় পড়ার ভয় না থাকে।
- খুব আরামদায়ক ঢিলে পোশাক পড়তে হবে।
- রাতে অবশ্যই ৬-৭ ঘণ্টা ঘুম দিতে হবে।
-পরীক্ষার হল থেকে আগে বের হওয়া যাবে না বা তাড়াহুড়া করা যাবে না। শান্ত হতে হবে, কথা কম বলতে হবে। - ভয়/চিন্তা হলে চুইংগাম চাবাতে পার, এটা বেশ কার্যকর।
এতক্ষণে এই পুরো লেখাটা ভিডিওতে দেখতে নিচের লিঙ্কে দেখে নাও-
আরোও পড়ুন- ১ মাসেই পরীক্ষার প্রস্তুতি বড় সিলেবাস নিয়ে