সিজিপিএ নম্বর বণ্টন

বোর্ড নির্দেশিত সিজিপিএ নম্বর বণ্টনসহ পাস ফেল হিসেব

সিজিপিএ নম্বর বণ্টন: গত সিজিপিএর ভিডিওতে অনেকে জানতে চেয়েছ যে পাশ ফেলের হিসেব কেমন হবে? তাদের জন্য আজকের এই ভিডিও। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড পাশ ফেলের ব্যাপারে বেশ পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। চলো তবে দেখে নেয়া যাক, কি কি পরিবর্তন থাকছে ২০১৯ টেবুলেশন নীতিমালাতে।

প্রথমে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা জেএসসি পরীক্ষার প্রসঙ্গে আসি।

জে এস সি সিজিপিএ নম্বর বন্টন

এখানে তোমরা দেখতে পাচ্ছ ২০১৮ সালের নীতি বহাল রয়েছে। অর্থাৎ তোমাদের পাশ ফেলের হিসেব ২০১৮ নীতিমালার মতই হবে।

jsc cgpa
JSC CGPA

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বাদে সকল বিষয়ে সৃজনশীল হবে ৭০ নম্বরের এবং বহুনির্বাচনি ৩০ নম্বরের। যেখানে প্রতি বিষয়ের ন্যূনতম পাশ হবে ৩৩। আর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে নৈব্যেত্তিক ২৫ নম্বরের থাকবে যেখানে পাশ নম্বর ১৭।

এবার আসি এসএসসি বা মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার প্রসঙ্গে-

এস এস সি সিজিপিএ নম্বর বন্টন

এখানে ২০১৯ সালের টেবুলেশন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।

ssc cgpa
SSC CGPA

বাংলা ১ম ও ২য় পত্র মোট (১০০+১০০)=২০০
সৃজনশীল/রচনামূলক দুটোতে মোট= ১৪০ নম্বর, পাশ=৩০ নম্বর

ইংরেজি ১ম=১০০ নম্বর
ইংরেজি ২য়= ১০০ নম্বর
দুটো মিলে ৬৬ পেলে পাশ গণ্য হবে।

গণিত (আবশ্যিক), ভূগোল, ধর্ম, বিজ্ঞান, পৌরনীতি, ব্যবসা উদ্যোগ, অর্থনীতি, হিসাব বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, ফিন্যান্স, বাংলাদেশ ইতিহাস।

এই বিষয়গুলোতে সৃজনশীল নম্বর ৭০ এবং পাশ নম্বর ১৫,
বহুনির্বাচনী নম্বর ৩০ এবং পাশ নম্বর ০৯

সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনী যৌথভাবে ১০০ এর মধ্যে ৩৩ নম্বর পেলে পাশ বলে গণ্য হবে।

আবার, পদার্থ, রসায়ন, জীব বিজ্ঞান, উচ্চতর গণিত, শারীরিক শিক্ষা, গার্হস্থ্য, কৃষিশিক্ষা- এ বিষয়গুলোতে,

সৃজনশীল ৫০ নম্বর এবং পাশ নম্বর ১১
বহুনির্বাচনি ২৫ নম্বর এবং পাশ নম্বর ০৮
ব্যবহারিক ২৫ নম্বর এবং পাশ নম্বর ০৮
মোটে ১০০ নম্বরের মধ্যে ৩৩ পেলে পাশ বলে গণ্য হবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সৃজনশীল থাকবে না, নৈব্যেত্তিক ২৫, ব্যবহারিক ২৫ এবং মোট ৫০, ২৫ নম্বরের নৈব্যেত্তিক বা বহুনির্বাচনী থাকবে যেখানে ৮ পেলে পাশ এবং ব্যবহারিকে ২৫ এর মধ্যে ৮ পেলে পাশ এবং সর্বোমোট ৫০ নম্বরের মধ্যে ১৭ পেলে পাশ বলে গণ্য হবে।

বহুনির্বাচনি ২৫, পাশ= ০৮

ব্যবহারিক ২৫, পাশ= ০৮

মোট= ৫০, পাশ= ১৭

এবার এইচ এস সি বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কাছে আসি-

এইচ এস সি সিজিপিএ নম্বর বন্টন

এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি ২০১৯ সালের টেবুলেশন নীতিমালা অনুযায়ী দেয়া হয়েছে।

hsc cgpa
HSC CGPA

বাংলা ১ম ও ২য় পত্র মিলে লিখিত মোট ১৭০ নম্বর, যেখানে পাশ ৫০ নম্বর।
বাংলা ১ম বহুনির্বাচনি ৩০, পাশ নম্বর ০৯।

বাংলা ১ম ও ২য় পত্র উভয় মিলে ২০০ নম্বরের মধ্যে পাশ নম্বর ৬৬।

ইংরেজি ১ম ও ইংরেজি ২য় মোট ১০০ করে ২০০। তবে ২০০ এর মধ্যে পাশ নম্বর ৬৬।

যে বিষয়গুলোতে ব্যবহারিক নেই সেই বিষয়গুলোতে
সৃজনশীল- (১ম+২য় পত্র) = ১৪০ নম্বর, পাশ নম্বর ৩৮
বহুনির্বাচনি (১ম + ২য় পত্র)= ৬০ নম্বর, পাশ নম্বর ১৮

১ম ও ২য় পত্রে মোট ২০০ নম্বরের মধ্যে ৬৬ পেলে পাশ বলে গণ্য হবে।

যে বিষয়গুলোতে প্রাকটিক্যাল বা ব্যবহারিক আছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে-
১ম+২য় পত্র, সৃজনশীল মোট = ১০০ নম্বর, পাশ নম্বর ২৫
১ম+২য় পত্র, বহুনির্বাচনি মোট = ৫০ নম্বর, পাশ নম্বর ১৬
এবং ১ম+২য় পত্র, ব্যবহারিক মোট = ৫০ নম্বর, পাশ নম্বর ১৬

আবার ১ম ও ২য় পত্র দুটো মিলে ২০০ নম্বরের মধ্যে টোটাল ৬৬ পেলে পাশ বলে গণ্য হবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে-

সৃজনশীল ৫০ নম্বর, পাশ ১২ নম্বর
বহুনির্বাচনি ২৫ নম্বর, পাশ ০৮ নম্বর
ব্যবহারিক ২৫ নম্বর, পাশ ০৮ নম্বর

মোট= ১০০ নম্বর, পাশ ৩৩ নম্বর
অর্থাৎ মোটে ৩৩ পেলে পাশ গণ্য হবে।

এই ছিল নতুন পদ্ধতিতে পাশ ফেলের হিসাব। কেমন লাগল আমাদের কমেণ্ট করে জানাও।

CGPA System

বোর্ড প্রণীত সিজিপিএ নম্বর বণ্টনের পিডিএফ নিচে-

ডাউনলোড করুন- এখানে

আরো পড়ুন- থাকছে না জিপিএ ৫ চালু হচ্ছে সিজিপিএ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *